নয়াদিল্লি: কোভিড টিকাকরণের (Covid vaccination) কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নয়। এক হলফনামায় (Affidavit) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) একথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। টিকা নেওয়ার ফলে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁর পরিবার দায়রা আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারেন। এটাই একমাত্র পথ। এর অতিরিক্ত দায়িত্ব কেন্দ্রের নয়। গতবছর কোভিড টিকা নেওয়ার পর দুই তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁদের বাবা-মা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার জবাবে কেন্দ্র হলফনামা দাখিল করে।
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of health and family welfare) তরফে বলা হয়েছে, টিকাকরণের ফলে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু খুবই বিরল ঘটনা। তাই এর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ দাবির কোনও আইনি গ্রহণযোগ্যতা নেই। দুই স্বল্পবয়সি তরুণীর জন্য শোকপ্রকাশ করে হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, টিকাকরণের জন্য এ পর্যন্ত মাত্র একটি মৃত্যুর কথা তদন্তে জানা গিয়েছে। অ্যাডভার্স এফেক্টস ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন (AEFI) বা এইএফআইয়ের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটি এই রিপোর্ট দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Gujarat Election 2022: কাল প্রথম দফার ভোট গুজরাতে, ত্রিমুখী লড়াই মোদি-শাহের রাজ্যে
আবেদনকারীর ক্ষতিপূরণের আর্জি নাকচ করে দিয়ে কেন্দ্র বলেছে, এইএফআইয়ের ফলে যদি কোনও ব্যক্তির শারীরিক ক্ষত কিংবা মৃত্যু হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারের সামনে একমাত্র দায়রা আদালতে ক্ষতিপূরণের আবেদনের দরজা খোলা আছে। গাফিলতির দাবি ঘটনা অনুযায়ী নির্ভর করে। কারণ দেশে যত টিকাকরণ হয়েছে, তারমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ধর্তব্যের মধ্যেই আনা যায় না। হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, চলতি বছর ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ২১৯.৮৬ কোটি টিকাকরণের মধ্যে ৯২,১১৪ জনের এইএফআই ধরা পড়েছে। তারও মধ্যে ০.০০৪১ শতাংশের এইএফআই সামান্য। ০.০০০১৩ শতাংশের মৃত্যুসহ গুরুতর প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম আবেদনটি করেন রচনা গঙ্গু নামে এক মহিলা। তাঁর মেয়ে গতবছর ২৯ মে টিকা নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই ১৯ জুন মারা যান। দ্বিতীয় আবেদনকারী হলেন বেণুগোপাল গোবিন্দন নামে এক ব্যক্তি। এমএসসি চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তাঁর মেয়েও কোভিশিল্ড নেওয়ার পরপরই মারা যান।