২০১৪ সালের টেট বিতর্ক আর কিছুতেই পিছু ছা়ড়ছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। তালিকার পর এবার নম্বর নিয়ে বিতর্ক। আদালতের নির্দেশেই সোমবার পর্ষদ টেট উত্তীর্ণরা কীসে কত নম্বর পেয়েছেন, তার ব্রেক আপ তালিকা প্রকাশ করেছে। বিভ্রান্তি চূড়ান্ত সেই তালিকাতেও। দেখা যাচ্ছে, অনেকে একশোতে একশো পেয়েছেনষ আবার কেউ কেউ একশো শতাংশের মধ্যে একশো নয় শতাংশও পেয়েছেন। পর্ষদ এই ভুলের কথা মেনেও নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই ভুল শুধরে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ওইদিনই টেটের পরীক্ষা হওয়ার কথা।
টেটে ৫০ নম্বর থাকে অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ারের উপর। যেমন মাধ্যমিকে ৫, উচ্চমাধ্যমিকে ১০, টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ৫, ভাইভায় ৫ এবং অতিরিক্ত ৫ নম্বর। ব্রেক আপ তালিকায় দেখা যাচ্ছে, অনেকেই উচ্চমাধ্যমিকে দশে দশ পেয়েছেন। তার অর্থ হল, ওই প্রার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০-র মধ্যে ৫০০ পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। কেউ কেউ আবার ১০.৯ পেয়েছে। দশের মধ্যে দশের বেশি নম্বর কোন যুক্তিতে কীভাবে হয়, প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষাবিদ। প্রশ্ন তুলেছেন টেটের আন্দোলনকারীরাও।
আরও পড়ুন:Politician Turned Actor: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা চেনা মুখ এখন ফিল্মস্টার
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়েই একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। তা নিয়েই আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, তাঁর আমলেই প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতেই তিনি এখন জেল খাটছেন। মানিক সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছেন। ডিসেম্বর মাসের প্রথমেই সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে মানিক মামলার শুনানির দিন সিবিআইয়ের আইনজীবী হাজির না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে আগাম সতর্ক করে দিন হাজিরার ব্যাপারে।