কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের পুরনো অবস্থান থেকে সরে এল। একদিন পর্যন্ত কমিশন বলে এসেছে, ২০১৬ সালের এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয়। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চে এবং পরবর্তীকালে ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন বারবার জানিয়েছে, যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, কমিশন যোগ্য প্রার্থীদের পাশে আছে।
এদিনই বাংলায় নির্বাচনী সফরে এসে একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদালতের রায়ে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, রাজ্য বিজেপি তাঁদের আইনি সহায়তা করার জন্য লিগ্যাল সেল গঠন করবে। তাঁদের জন্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মও গড়া হবে। রাজনৈতিক মহল বলছে, প্রধানমন্ত্রী ওই ঘোষণা করার পরই কমিশনের এই ইউটার্ন।
আরও পড়ুন: পুকুরে স্নান করতে নেমে মৃত্যু ৩ কিশোরের
এতদিন স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে এসেছে, যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তা নিয়ে কমিশন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে আদালতকে বিভ্রান্ত করেছে। তার জন্য কমিশন কর্তাদের আদালতে একাধিকবার ধমকও খেতে হয়েছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বরের ডিভিশন বেঞ্চ দুসপ্তাহ আগে এসএসসির নিয়োগ মামলায় যে রায় দিয়েছে, সেখানেও কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বারবার বলা সত্ত্বেও কমিশন যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দিতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করার নির্দেশ দিতে হয়েছে।
এদিন চাকরিহারাদের বিশাল জমায়েত হয় বিধাননগরে কমিশন দফতরের সামনে। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। পরে দশজনের এক প্রতিনিধিদল কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে। সাংবাদিক বৈঠকে সিদ্ধার্থ বলেন, আজ চাকরিহারাদের বিশাল জমায়েত হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমরা যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেব। শীর্ষ আদালতকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করব।