নয়াদিল্লি: ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশের মানুষ অতিমারির (Pandemic) সময় কোভিশিল্ড (Covishield) টিকা নিয়েছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Astrazeneca) সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছিল, যা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা স্বীকার করেছে, কোভিশিল্ড টিকার এক বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে যার নাম টিটিএস (TTS)।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা হয়েছে। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা থেকে টিটিএস বা থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপিনিয়া সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। এই সিনড্রোমে রক্তবাহের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্লেটলেট কমতে থাকে। এই অভিযোগ স্বীকার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, তারা জানিয়েছে খুবই বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস দেখা দিতে পারে। এই স্বীকারোক্তির জেরে কোটি কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাকে।
আরও পড়ুন: নেট পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হল
কোভিশিল্ড টিকা থেকে ঠিক কীভাবে টিটিএস দেখা দিতে পারে তা নির্ণয় করতে এখনও অসমর্থ অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অনুমান, টিকা শরীরে ঢোকার পর রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেমকে প্রভাবিত করে, যা থেকে প্লেটলেট কমে যাওয়া এবং রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এই সমস্যা খুবই বিরল কিছুক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। কোভিশিল্ড নেওয়া ভারতীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই তবে সতর্ক থাকা ভালো।
এদিকে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi)। এমনকী টুইটারে এখন ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ অ্যারেস্ট নরেন্দ্র মোদি। কাঠগড়ায় সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute) কর্ণধার আদর পুনাওয়ালাও (Adar Punawalla)। একই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের একটি পুরনো ভিডিও। যেখানে তিনি বলেছিলেন, তিনি বিজেপি সরকারের ভ্যাক্সিন নেবেন না। এক টুইটার ব্যবহারকারী সেই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “তখন সপা নেতার মন্তব্যে বিজেপি হেসেছিল, আজ তাঁর কথাই সত্যি প্রমাণিত হল। এই অপরাধে শামিল সবাইকে গ্রেফতার করা উচিত।”
দেখুন অন্য খবর: