হাওড়া: লিলুয়া ভারতীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭৬ নম্বর বুথে বুথে প্রায় দু’ঘণ্টা হয়ে গেলেও ভোট শুরু হয়নি। মক-পোলের পাশাপাশি একাধিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অবজারভার অলোক কুমার বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী সঙ্গে বচসা তৃণমূলের। প্রায় হাতাহাতির পর্যায় পৌঁছয়। তৃণমূলের দাবি, রথীন তাঁর সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বুথে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ ধরে মক পোল করিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী রথীনের দাবি, ২ ঘণ্টা হয়ে গেলেও ইচ্ছাকৃতভাবে ভোট চালু করা হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এখনও পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে বসে রয়েছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী পৌঁছলে, প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম মান্না কার্যত কেঁদে ফেলেন। হাত জোড় করে অভিযোগ করেন, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি স্কুল শিক্ষক। বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে। এভাবে মারধর করা হয়েছে। শুরুতেই এজেন্ট হিসেবে দুজন মহিলা ঢুকে মারধর করা হয়েছে। তবে কোন দল সেটা তিনি কিছু বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত স্বরূপনগর, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
এদিকে ওই প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে মহিলা এজেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।