হিজাববিধি (Hijab law) নিয়ে ইরানজুড়ে (Iran) যে বিক্ষোভ চলছে, সেই পরিস্থিতিতে লাগাম পরাতে দেরিতে হলেও উদ্যোগ নিল ইরান সরকার। সরকার বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরা সংক্রান্ত আইন পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইরান সরকার জানিয়েছে, অশান্তির জেরে প্রতিবাদকারী ও নিরাপত্তারক্ষী মিলিয়ে মোট ২০০জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) পেশ করা হিসেব অনুসারে, মৃতের সংখ্যা তিন শতাধিক। এছাড়া ওসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (Iran human rights) জানিয়েছে, ইরানে প্রতিবাদকারীদের মধ্যে অন্তত ৪৪৮জনের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে।
ইরানের নাগরিক কুর্দিশ তরুণী মাসহা আমিনি সরকারি হিজাববিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতারের পরে পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। এরপর হিজাব বিরোধী আন্দোলন তুমুল হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে মৃতদের মধ্যে একাংশ শিশুও।
সরকার কয়েক দশকের পুরনো বাধ্যতামূলক হিজাব আইন (Hijab law) পর্যালোচনা করার কথা ঘোষণা করার পরে অশান্ত ইরান এবার শান্ত হবে কি না সেটাই এখন দেখার। তবে আন্দোলন চলছেই। এদিনও বহু তরুণী পথে নেমে সরকার বিরোধী স্লোগানে মুখর, প্রতিবাদকারী মহিলারা প্রকাশ্য রাজপথে আগুনে জ্বালিয়ে দিচ্ছেন হিজাব।
এই পরিস্থিতিতে ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মন্টাজেরি জানালেন, বাধ্যতামূলক হিজাব পরা সংক্রান্ত আইন খতিয়ে দেখবে পার্লামেন্ট এবং বিচারবিভাগ। তবে কোনও সংশোধনী আনা হবে কি না সে ব্যাপারে কিছু জানাননি। অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানিয়েছেন, হিজাব আইন পর্যালোচনা করার এক থেকে দু’সপ্তাহের ভিতর সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে।