CMC Hunger Strike: অনশন সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সব পক্ষ

কলকাতা: গুরুতর অসুস্থ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) অনশনরত আরও দুই পড়ুয়া। টানা চারদিন একটানা অনশন করায় আন্দোলনকারী ঋতম মুখোপাধ্যায়ের রক্তে একধাক্কায় শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। তিনি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সিসিইউতে (ICCU) ভরতি। স্যালাইন চলছে। অসুস্থ হলেও খাবার খেতে নারাজ ঋতম। সোমবার আরও দুজন অনশনে যোগ দিলেন-সৌমিত দত্ত আর শুভ সরকার। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। 

মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করা হবে। সেই বৈঠকে আলোচনার পর কোনও সমাধান পাওয়া যাবে কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চিকিৎসক এবং আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
এদিকে আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়াদের বোঝাতে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পড়়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও আন্দোলন তুলতে নারাজ পড়ুয়ারা। আবার জট খুলতে স্বাস্থ্যভবনে মঙ্গলবার বৈঠকে দুপুর তিনটে থেকে বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর ছাত্রভোটের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে অনশন শুরু করেছে ছাত্ররা।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকী, সুপারের ঘরে বৈঠকও করেন । আন্দোলনকারীরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ফলে এখনও আন্দোলন চলছে মেডিক্যাল কলেজে। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানান, “নির্বাচনের কোনও দিনক্ষণ জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আন্দোলন তুলে নেওয়ার মতো কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি। তাই আন্দোলন চলবে।” 

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ছাত্রদের অনশন আন্দোলনে বাইরে থেকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। মন্ত্রী (Minister) জানান, বাইরে থেকে ইন্ধনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।