বহরমপুর: নিয়োগ (Recruitement) পেয়েছেন একজন। তাঁর নিয়োগপত্রে (Appointment Letter) চাকরি করছেন আর একজন। এরকমই চাঞ্চল্যকর (Shocking) ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাতে আরও বিস্ফোরক তথ্য হল, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের (HeadMaster) ছেলের বিরুদ্ধেই সেই অভিযোগ। সুতি ১ নম্বর ব্লকের (Suti Block) গোথা এ রহমান স্কুলের ঘটনা। কর্মশিক্ষার (Work Education) শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি (Animesh Tiwari) আসলে ভুয়ো শিক্ষক। মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শকের (DI) রিপোর্টেই সেই তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে (Ashis Tiwari) আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
যে ঘটনায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu) মন্তব্য করেন, স্কুলের পড়ুয়াদের (School Student) অবস্থা আমি শুধু ভাবছি। কী পড়ছে তারা! ২০১৯ সাল থেকে তিনি বেতন নিচ্ছেন! ঘটনায় কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে ওই শিক্ষকের স্কুল রেজিস্ট্রার সহ যাবতীয় নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি না ব্যতিক্রমী দুর্নীতি সেটাই খতিয়ে দেখতে চাই।
আরও পড়ুন: Lalan Sheikh: লালন মামলার সিআইডি তদন্তে খুশি নয় আদালত, পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি
জানা গিয়েছে, ভূগোলের শিক্ষক পদে অরবিন্দ মাইতি নিয়োগপত্র পান বেলডাঙার একটি স্কুলে। তাঁর নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে অনিমেষ তিওয়ারি চাকরি করছেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এরকমই বিস্ফোরক তথ্য। শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে তথ্য বলছে ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি।
ভুয়ো শিক্ষক কেন অনিমেষ তেওয়ারি?
মামলাকারীর যুক্তি, আরটিআই (RTI) আইন অনুয়ায়ী পাওয়া তথ্যে অনিমেষের বিষয়(মেথড সাবজেক্ট) ইতিহাস। তাহলে স্কুল কীভাবে বলছে তিনি কর্মশিক্ষার শিক্ষক? আরটিআই তথ্য বলছে এসএলএসটি ২০১৬(SLST 2016) পরীক্ষার্থীও নন অনিমেষ।
কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের আগের পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে। সেই সময়ে পরীক্ষা দিলে অনিমেষের বয়স হয় ১৭ বছর। কারণ তাঁর জন্ম হচ্ছে ১৯৯৫ সালে। কর্মশিক্ষা শিক্ষক হওয়ার কমপক্ষে বয়স হতে হবে ২০ বছর। ২০১২ সালে পরীক্ষা দিলে, ১৭ বছর বয়সে কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন অনিমেষ? তাছাড়া পার্শ্বশিক্ষকদের থেকে নিয়োগ এখন বন্ধ। তাহলে কীভাবে এই নিয়োগ হল, প্রশ্ন মামলাকারীর।
আরটিআই তথ্য অনুয়াযী, ২০১৬-১৮ শিক্ষা বর্ষে বিএড করেছেন অনিমেষ। যেখানে তাঁর বিষয় ছিল মেথড ইতিহাস। তবে কর্মশিক্ষার শিক্ষক তিনি হলেন কীভাবে, এই প্রশ্নে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
 পেয়েছেন একজন। তাঁর নিয়োগপত্রে (Appointment Letter) চাকরি করছেন আর একজন। এরকমই চাঞ্চল্যকর (Shocking) ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাতে আরও বিস্ফোরক তথ্য হল, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের (HeadMaster) ছেলের বিরুদ্ধেই সেই অভিযোগ। সুতি ১ নম্বর ব্লকের (Suti Block) গোথা এ আর স্কুলের ঘটনা।){kind=link}