মুর্শিদাবাদ: অর্থোপেডিক (Orthopedic) সমস্যায় ভুগছেন অর্থাৎ হাড়ের কোনও অসুখে আক্রান্ত আছেন এমন কোন রোগী স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে (Nursing Home) ভর্তি হতে পারবেন না। স্বাস্থ্য দফতরের পাইলট প্রোজেক্টের (Pilot Project) ওই নির্দেশ পেয়ে তৎপর হল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। যা নিঃসন্দেহে সরকারি স্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আর ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহরমপুর পুরসভার অর্থোপেডিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Hospital) ভর্তির আবেদন জানান হল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। অস্থিবিদ্যা বিষয়ক বিভাগে উপযুক্ত পরিকাঠামো (Infrastructure) থাকার কারণে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রচেষ্টায় শহরের বাসিন্দাদের অর্থোপেডিক চিকিৎসার জন্য ওই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, “কোন রোগীর এমার্জেন্সি (Emergency) ছাড়া অপারেশন না হলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে তাঁর হাসপাতালকে। আর অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টের দক্ষ চিকিৎসক (Doctor) যেমন রয়েছেন তেমনই পরিকাঠামো রয়েছে হাসপাতালে। ফলে বাইরে রোগীদের (Patient) রেফার করে পাঠানোর কোনও প্রশ্ন নেই। অবশ্য কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি অপারেশনের (Operation) সরঞ্জাম সাপ্লাইয়ের একটু সমস্যা রয়েছে। আর সেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা গেলেই রোগীদের স্থানান্তরিত করতে হবে না।”
গত নভেম্বর মাসে ১৫১ জনের অর্থোপেডিক অপারেশন হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। উল্লেখ্য সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবহার এবং সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে ওই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই মডেল যদি সফল হয় তাহলে সারা রাজ্যে একই মডেল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।