চণ্ডীপুর: পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ভোট লুঠ করতে এলেই ভোট মেশিন পুকুরে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে এক সভায় তিনি বলেন, এবার ভোট লুঠ করতে এলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। এটা যেন তৃণমূলের (tmc) দুষ্কৃতিরা মনে রাখে। বিরোধী দলনেতার মুখে এদিন পুরনো দিনের বামপন্থী আন্দোলনের প্রশংসাও শোনা যায়। তিনি বলেন, অতীতে বামেরা যে ভাবে বিভিন্ন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ত, এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি কর্মীরাও সে ভাবেই ঝাঁপাবেন। শুভেন্দুর পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar) যখন ভাষণ দিতে ওঠেন, তখন মাঠ প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
শুভেন্দু এদিন নন্দীগ্রামেও (nandigram) সভা করেন। ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির জমি আন্দোলনে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে শহীদ সভায় যোগদেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে শুভেন্দু নন্দীগ্রামে এই দিনটিতে সমাবেশ করতেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অয়ালাদা করে শহীদ দিবস পালন করেন।
আরও পড়ুন: Birbaha Hansda: দম থাকলে নেতাইয়ে রাজনৈতিক লড়াই করুন, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ বীরবাহার
সভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামের মানূষ জমি আন্দোলন না করলে মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। গোটা তৃণমূল দলটাই এখন চোরের দলে পরিণত হয়ে গিয়েছে। ওরা কেবল আমার ভূত দেখছে। মমতার পাশাপাশি তিনি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করে বলেন, সবাইকেই জেলে যেতে হবে। কেউ ছাড়া পাবে না।
বিজেপির সভার আগে এদিন সকালে নন্দীগ্রামে তৃণমূলও শহীদ দিবস পালন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে। শহীদ দিবস উপলক্ষে এক সভায় শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ভোর ৪ টের সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন তৃণমূল নেতারা। কুণাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি, দলের যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি শেখ সুফিয়ান প্রমুখ। দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যাবস্থা ছিল।