দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠে সেনা বাহিনীর কিছু ছাউনিতেও ফাটল ধরেছে।২০টির বেশি ঘাঁটি সেখানে মাঝারি থেকে অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে প্রয়োজনে অভিযানের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। দেশের সেনা বাহিনীর প্রধান (Chief OF Army Staff) জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Panda) জানান, ২০টিরও বেশি ছাউনিতে অল্প বিস্তর ফাটল দেখা গিয়েছে। ওই ছাউনিগুলি থেকে সেনাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে তাতে কোনও সমস্যা হবে না।
জোশিমঠে প্রায় ৬০০ বাড়িতে বিপজ্জনকভাবে ফাটল ধরেছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাড়িতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে সেগুলিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ ক্রস চিহ্ন দেওয়া বাড়িগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে। বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বাহিনী স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখেও পড়ে। এদিন বিক্ষোভ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীকে ঘিরেও। তার মধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
জোশী মঠে চীন সীমান্তে ভারতের একেবারে শেষ গ্রাম মানা। সেখানকার বাসিন্দারা আবার এলাকা ছেড়ে যেতে চাইছেন না। বাসিন্দাদের বক্তব্য, বরফ পড়লেও তাঁরা সেখানেই থাকবেন। কারণ, এতেই তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। স্থানীয় ভাষায় গান গেয়ে তাঁরা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Joshimath Sinking Update: জোশিমঠে সেনাবাহিনী মজুত, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে হোটেল ভাঙার কাজ শুরু
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে জোশিমঠ নিয়ে মামলাটি উঠতে পারে ১৬ জানুয়ারি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মামলার আবেদনে বলা হয়েছে জোশিমঠে যেন সেখানে হাইড্রো ইলেকট্রিক সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই কাজের জন্যই জোশিমঠের আজ এই হাল বলে স্থানীয়রা মনে করেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, পাহাড় কেটে প্রচুর বহুতল নির্মাণ এবং বিদ্যুত সংস্থার কাজের ফলে জোশিমঠ চরম বিপদের সম্মুখীন।