কলকাতা: বিজেপি নেতা তথা বলিউডের অভিনেতা পরেশ রাওয়াল (BJP Leader Paresh Rawal) কেন আগাম জামিনের আবেদন করছেন না, জানতে চাইল আদালত। বাঙালির মাছ-ভাত বিতর্কে তালতলা থানার তলবের বিরুদ্ধে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পরেশ। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ( Justice Raja Sekhar Mantha) বিজেপি নেতার আইনজীবিকে প্রশ্ন করেন, আপনার মক্কেল কেন আগাম জামিন চাইছেন না। তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি ভাবতে পারি। কিন্তু রক্ষাকবচের কোনও সুবিধা হয়ত দিতে পারব না। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটের সময় বিচারপতির মান্থার এজলাসে ওই মামলার শুনানি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গুজরাতে ভোটের (Gujrat Election) প্রচারে গিয়ে পরেশ বলেন, দিল্লির মতো আপনাদের আশেপাশে যদি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা থাকতে শুরু করেন তখন কী করবেন? রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমলে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন? তাঁর এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হন বাংলার অনেক রাজনৈতিক নেতা। পরে চাপের মুখে ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপির ওই নেতা। টুইটে তিনি বলেন, মাছ-ভাত কোনও ইস্যুই নয়, কারণ গুজরাতিরাও মাছ রান্না করেন এবং খান। আমি বাঙালি বলতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের বোঝাতে চেয়েছি। তাও যদি আমার মন্তব্যে কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
আরও পড়ুন:Tripura Assembly Elections 2023: শুক্রবার থেকে ত্রিপুরায় বিজেপির প্রচার শুরু, আসছেন নাড্ডা
বিজেপি নেতা ক্ষমা চাইলেও তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে ইতি পড়েনি। ক্ষমা চাওয়ার পরেও সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim) তাঁর বিরুদ্ধে তালতলা থানায় এফআইআর (FIR) করেন। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনেক থানায় একই ইস্যুতে পরেশের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়। বিজেপি (BJP) অবশ্য এই ইস্যুতে পরেশের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছিল। সিপিএম (CPIM) নেতার এফআআর-এর ভিত্তিতেই তালতলা থানা পরেশকে দুবার হাজিরার জন্য নোটিস পাঠায়। দুবারই তিনি ব্যস্ততার কারণে হাজিরা না দেওয়ার কথা জানান। এবার ফের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে তলব করে তালতলা থানা। সেই ইস্যুতেই তিনি মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ 2 ফেব্রুয়ারি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ( Justice Raja Sekhar Mantha) এজলাসে এই মামলার শুনানি।