কলকাতা: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) কিছুতেই এঁটে উঠতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। স্পনসর নিয়ে টানাপড়েন, ডামাডোল শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে টাকার জোগান সবই হয়েছে। কিন্তু নিট ফল শূন্য। লিগ টেবিলে ১৫ ম্যাচে মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বর স্থানে রয়েছে লাল-হলুদ। জিতেছে মাত্র চারটি ম্যাচে, ড্র করেনি, হেরেছে বাকি ১১টি ম্যাচই। জানুয়ারি মাসে দলবদলের জানালা (Transfer Window) খুলেছিল, দলের শক্তি বাড়াতে প্লেয়ার কিনতে পারত ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু তাও করতে পারল না তারা।
পকেটের জোর থাকলে কী হয় তা মুম্বাই সিটিকে এফসিকে (Mumbai City FC) দেখলেই বোঝা যায়। এটিকে-মোহনবাগানও (ATK-Mohun Bagan) দল গড়তে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেছে। ক্রমাগত ব্যর্থ হতে থাকা ইস্টবেঙ্গলের আর্থিক অবস্থা এমনও নয় যে নতুন একজনকেও নেওয়া যাবে না। কিন্তু সে পথে না হাঁটার অর্থ এ মরশুমের মতো হাল ছেড়ে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ প্লে অফে (Play Off) যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই কলকাতার (Kolkata) শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটির।
আরও পড়ুন: Manchester United: ওস্তাদের চাল এরিক টেন হাগের, কারাবাও কাপের ফাইনালে ম্যান ইউ
মাঠে দলের পারফরম্যান্স দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সমর্থকরা জানতেন যে ক্লাবটি রাতারাতি উইনিং মেশিনে পরিণত হবে না। তবে তারা আশা করেছিলেন, প্রশাসনিক এবং নিয়োগের দিক থেকে উন্নতির হোক। জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে লাল-হলুদ ব্রিগেডের নিস্পৃহ হয়ে থাকা তার সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হাঁটা।
২০২২-২৩ মরশুমের শুরুতে লালচুংনুঙ্গা, অনিকেত যাদব, এবং ভিপি সুহেরের মতো প্লেয়ারদের সই করানো হয়েছিল। মনে হয়েছিল, ভবিষ্যতের জন্য স্কোয়াডকে গড়ার দিকে মন দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। একটি দুর্দান্ত স্কোয়াড না হলেও, অন্তত তরুণ, প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের সই করাতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু হতাশ করেছে বিদেশিরা। ইস্টবেঙ্গল যেসব বিদেশি এনেছে তাদের প্রায় কেউই পাতে দেওয়ার মতো নয়। এর মধ্যে এক ফুটবলারের বকেয়া না দেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের উপর প্লেয়ার কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ফিফা (FIFA)। পরে অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কিছু হয়নি। প্লেয়ার কেনার আগ্রহই দেখায়নি ইস্টবেঙ্গল।