কলকাতা: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) নজর এবার কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ইডির দাবি, কুন্তলের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬.৫ কোটি টাকার হদিশ। সেই টাকার উৎস জানতে চায় ইডি (ED)। ৩০ কোটি টাকা যেটা তিনি রিসিভ করেছে সেটা সাযেন্টিফিকালি পাওয়া গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত তা অস্বীকার করেছে। দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৬.৫ কোটি টাকা ডিপোজিটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা তুলে অন্যত্র পাঠানোও হয়েছে। যা বেআইনিভাবে টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির।
এদিকে ১৩০ জন প্রার্থীর প্রতি ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইডি। শুধু প্রাইমারি বা আপার প্রাইমারি নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাডি থেকে যে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) দেওয়া টাকাও রয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে ইডির আইনজীবীর বক্তব্য, তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত জিনিস সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাটাতে হয়। সেটা আমরা করেছি। পিএমএলএ অ্যাক্টের ৫০ নম্বর ধারাতে বলা আছে, ইডির আইওর সামনে দেওয়া বয়ান আদলতে গ্রহণযোগ্য। ১২০০ ক্যান্ডিডেটের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া কোর্ট থেকে চাকরির অর্ডার করিয়ে দেবে বলে টাকা নেওয়া হয়। ইডির আরও দাবি, কুন্তল এবং তাঁর সহযোগীদের মাধ্যমে পার্থ চট্টাপাধ্যায় ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের কাছে টাকা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:PIL Bombay High Court: জগদীপ ধনখড় এবং কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা শুনবে বম্বে হাইকোর্ট
অন্যদিকে কুন্তল নিজেও বিচারকের কাছে নিজের জামিনের আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, আমি ইডিকে সব সময় সাহায্য করছি। যা তথ্য চেয়েছে, দিয়েছি। ইডি বলতে বাধ্য হয়েছে, তারা কোনও সম্পত্তি পায়নি। আমি খেটে খাওয়া ছেলে। বাড়িতে বাচ্চা, বৃদ্ধ মা রয়েছেন। আমায় জামিন দিলে পরিবারটা বাঁচবে।