জলপাইগুড়ি: হোমে আবাসিকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির একটি সরকারি হোমে। সেখানে এক নাবালকের ( Boy) অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unnatural Death) ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই নাবালক বিচারাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিবিআইকে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে হবে। মৃতের দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত(Post Mortem) করতেও পারবে সিবিআই। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে (CBI) ।
গত ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) একটি হোমে মাদক মামলায় ধৃত এক নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই কিশোরের জামিনের আবেদনের (Bail Plea) শুনানি চলছিল হাইকোর্টের (High Court) জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে গত জানুয়ারি মাসে সার্কিটের তৎকালীন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং সিদ্ধার্থ রায় চৌধূরীর ডিভিশন বেঞ্চ বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন, কেন জামিনের মামলা চলাকালীন কিশোর আত্মহত্যা করবে? সব পক্ষের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারি রিপোর্টে (Government Report) বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করেন খোদ সরকারি আইনজীবীরাই। সেই মামলাতেই এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল এখনকার ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Burdwan Train cancel: ওভারব্রিজ ভাঙতে বাতিল ট্রেন, বর্ধমান স্টেশনে যাত্রীদের তুমুল ভোগান্তি
ইদানীং রাজ্যের (Westbengal) একের পর এক ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চলছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হোক বা গোরুপাচার। তাছাড়া একাধিক ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চলছে। এবার সরকারি হোমে নাবালকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত হওয়ায় বিষয়টিতে সাড়া পড়েছে। এই ঘটনায় অনেকগুলি প্রশ্ন উঠছে, বিচারাধীন হলে তার উপরে তো নজরদারি চলবে। সেখানে নজরদারি কোথায় ছিল? সরকারি হোমের নিরাপত্তা কোথায়? এই ঘটনায় কী দায় এড়াতে পারেন সেখানকার কর্তৃপক্ষও।