কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) থেকে শুরু করে মিড ডে মিলে দুর্নীতি, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত রাজ্যের শাসকদল। আর এই দুর্নীতি প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেই বারংবার রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে চলছে বিরোধীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) আবারও তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করলেন।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। তার আগেই কলকাতা সফরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan )। এদিন সকালে শিবরাত্রি উপলক্ষে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তারপরই ভঙ্গুর সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বৈঠকে মিলিত হন। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের একবার সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ পবিত্র দিন। আমার সৌভাগ্য আজ বাবা ভূতনাথ মন্দিরে এলাম। মোদির ওপর মানুষের ভরসা বাড়ছে। স্থানীয় সরকারের দুর্নীতি, যুব বিরোধী নীতির জন্য ক্ষোভ বাড়ছে। ২০১৯-এর থেকে পার্টির পরিস্থিতি আরও ভালো হচ্ছে।” রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সব থেকে বড় অপরাধ, তারা সরস্বতীর পুণ্য ভূমিতে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে সব রকম দুর্নীতি করেছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, ওদের জন্য আসা মিড ডে মিলের টাকায় দুর্নীতি। পড়ুয়াদের জন্য যে বই-খাতা, জামা-কাপড় আসে তাতে দুর্নীতি। তাঁরা শিক্ষাকে দেবী মনে করেন না। বরং তোলাবাজি ও কাটমানির একটি উপায় মনে করে। তোলাবাজি, কাটমানিতে অভিযুক্ত শাসক দল। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। তদন্ত চলছে, সব সামনে আসতে চলেছে।”
আরও পড়ুন:Firhad Hakim: মেটিয়াবুরুজে পুকুর ভরাটের অভিযোগ, ওসির বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ ফিরহাদের
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপির পক্ষ থেকে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার পাশাপাশি বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ কলকাতায় আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে এই লোকসভার কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির যে বৈঠক হয়েছে দিল্লিতে, সেখানে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যে আসনগুলিতে ফলাফল ভালো হয়নি। সেগুলোতেই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্বকে।