কলকাতা: যে লড়াইতে নেমেছে নওশাদ সিদ্দিকি (Nausad Siddiki), সেই লড়াই কোনভাবেই থামবে না। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে প্রবেশের সময় হুঁশিয়ারি আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। তিনি বলেন, একজন বিধায়ককে কীভাবে আটকে রাখা হয়েছে সবাই দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু কোনভাবেই লড়াই থামানো যাবে না। লড়াই চলছে এবং চলবে। আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা দেবে। কিন্তু সবাই দেখতে পাচ্ছে কী হচ্ছে। নওশাদ সিদ্দিকি থেমে থাকবে না। পঞ্চায়েত ভোটে এর উত্তর পাবে রাজ্যের শাসক দল।
এদিন নওশাদের আইনজীবী আদলতে আবেদন জানায় তাঁকে যেন জেল হেফাজত দেওয়া হোক। একইসঙ্গে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে যেন তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নওশাদ আদলতে বলেন, তিনি সাধারণ বন্দি হিসেবেই জেলে থাকবেন। পুলিশ অবশ্য এদিন নওশাদকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিল। আদলত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তাঁকে বিচারক আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:Manish Sisodia: ফের আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে তলব সিবিআইয়ের
প্রসঙ্গত গত মাসেই ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আইএসএফ নেতা-কর্মীদের। তার আগে ভাঙড়ে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে নওশাদদের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ আইএসএফের। পরে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলা অভিযান ঘিরেও উত্তেজনা ছড়ায়। আইএসএফের বহু কর্মী সমর্থক ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করেন। তা তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। হামলা হয় লোহার রড, বাঁশ ইত্যাদি নিয়েও। পাল্টা পুলিশও লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস চালায়। ওই হামলায় হেয়ার স্ট্রিট থানার দুই অফিসার সহ ১৯ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। আইএসএফেরও বেশ কয়েক জন আহত হন। পরে নওশাদ সহ ২১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরের দিন আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়।