বাঁকুড়া: কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লোকসঙ্গীত শিল্পী (Folk Song Artist) সুভাষ চক্রবর্তী (Subhas Chakraborty)। বাঁকুড়া হারাল এক মহান শিল্পীকে। বাংলা হারাল এক খ্যাতিমান লোকশিল্পীকে। তিনি একাধিক গান রচনা করেছেন ও সুর দিয়েছেন বহু গানে। ভাদু, টুসু ও ঝুমুর গান গেয়ে একের পর এক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী।তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ শিল্পী মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamta Banerjee) গভীর শোক প্রকাশ করেন। শিল্পীর দেহ এদিন বিকেল থেকে রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে বলে নাবন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে।
সুভাষ চক্রবর্তীর ভাই সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন শিল্পী।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মেয়ে বিশিষ্ট লোকশিল্পী (Folk Song Artist) অর্পিতা চক্রবর্তী শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, বাবা ভালো নেই, শারীরিকভাবে অসুস্থ। সবাই তাঁর জন্য প্রার্থনা করুন। এরপর শনিবার অর্পিতা পোস্ট করে জানিয়ে দেন, বেলা ১২টা নাগাদ সুভাষ চক্রবর্তী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। শিল্পীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: University Student Collapsed: নাচের সময় বেঙ্গালুরুতে ছাত্রের মৃত্যু
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে লোকগান শেখাতেন। নিজের মেয়েকেও একজন বড় মাপের লোকশিল্পী করে তুলেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কলকাতায় থাকছিলেন।
বিশিষ্ট এই লোকসঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।শোকবার্তায় তিনি বলেন, বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি শোকাহত। সুভাষবাবু ঐতিহ্যময় লোকসঙ্গীত বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।তাঁর সৃষ্ট কিছু অবিস্মরণীয় লোকগান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তাঁর প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সুভাষ চক্রবর্তীর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।