প্রকাশিত হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট (Happiness Report)। সেখানেই বিশ্বের (World) সুখী দেশগুলির (Happiest Country) তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড (Finland)। এই নিয়ে ষষ্ঠবার। দেড়শোর বেশি দেশকে নিয়ে তৈরি তালিকায় ভারত (India) রয়েছে ১২৬ তম স্থানে। প্রতিবেশী বাংলাদেশের (Bangladesh) অবস্থা খুব ভাল না হলেও তালিকায় তারা ভারতের উপরে। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, চীন, শ্রীলঙ্কাও ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে। সোমবার আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের সুখী দেশ নিয়ে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি সংস্থা।
কোন দেশ কতটা সুখী, তা জানতে ১৫০টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। কানাডা ১৩, যুক্তরাষ্ট্র ১৫, যুক্তরাজ্য ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় এই প্রথম বার স্থান পেয়েছে লিথুয়ানিয়া। ২০ নম্বর স্থানে রয়েছে দেশটি। ইউক্রেন ৯২তম অবস্থানে। রাশিয়া রয়েছে ৭০তম অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান হল ৭৮। পাকিস্তান ১০৮, শ্রীলঙ্কা ১১২। প্রতিবেশী বাংলাদেশ রয়েছে ১১৮তম স্থানে। অন্যদিকে এবারের সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম। ১৩৭তম স্থানে নাম রয়েছে দেশটির।
আরও পড়ুন:2000 Notes | চুপিসাড়ে বন্ধ হতে চলেছে ২,০০০ নোট? কী বলছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
আগের বছরগুলির মতোই প্রথম দিকে রয়েছে নর্ডিক দেশগুলি। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত এক গবেষকের কথায়, নর্ডিক দেশগুলিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসার মাত্রা অনেকটাই বেশি। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারী পর্বে পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশের তুলনায় এই দেশগুলিতে মৃত্যুহার অনেক কম। ২০২০ এবং ২০২১ সালে নর্ডিক দেশগুলিতে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশগুলিতে দেশগুলিতে প্রতি এক লক্ষ জনে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৮০ জন।
শুধু ব্যক্তিগত সুখ নয়, রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, মানুষের গড় আয়ু, সামাজিক সহায়তা, কাজের স্বাধীনতা ও দুর্নীতির মতো বিষয়। রিপোর্টের দায়িত্বে থাকা এক গবেষক বলেন, ২০২১ সালে করোনার মতো কঠিন সময়ে মানুষের মধ্যে অচেনা ব্যক্তিদের সাহায্য করার প্রবণতা বেড়েছে। ২০২২ সালেও সেই প্রবণতা অনেকটাই বেশি ছিল। ওই কঠিন সময়েও নর্ডিক দেশগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিবাচক আবেগ অনেক বেশি ছিল।