বিশেষজ্ঞদের মতে রমজানে (Ramadan) দিনের অর্ধেকের বেশি সময় যেহেতু না খেয়ে থাকতে, তাই সারাদিন নিজেকে সুস্থ রাখতে সেহরিতে (Sehri) ও ইফতারে (Iftar) পর্যাপ্ত পরিমানে জল (Water) এবং সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এসময় না জেনে বুঝে খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক খাবার নির্বাচন করে তবেই খাওয়া উচিত। আসুন দেখেনিই বিশেষজ্ঞরা ইফতারে সেহেরিতে কী খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
সেহরিতে যা খেতে পারেন (What to Eat on Sehri)
- সেহরিতে ভারী, তেল, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। সহজপাচ্য, মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে বলে যেন আবার বেশি খাবেন না।
- ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
- বেশি মাত্রায় জল পান করুন। সারা দিনের জলের চাহিদা পূরণ করতে হবে। তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত দুই লিটার জল পান করুন।
- এছাড়াও জল যুক্ত ফল, যেমন তমুজ শসা, যেগুলি খেলে শরীরে জলের ঘাড়তি পূরণ হবে সেগুলি খাওয়া উচিত।
- এছাড়া লেবুর জল বা ইসুবগুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে।
- তবে চা, কফি, বেভারেজ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো এগুলো শরীর থেকে জল বের করে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
ইফতারে যা খেতে পারেন (What to Eat on Iftar)
- শসা, কলা, খেঁজুর, খোরমা, মৌসুমী যে কোনো ফল। এখন কাঁচা আমও পাওয়া যেতে পারে তার শরবত বা তরমুজ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যা শরীরে খনিজ পদার্থ যোগানের সঙ্গে সঙ্গে জলেরও যোগান দেবে।
- মুখের স্বাদ পরিবর্তনের জন্য জিলাপি, নুডুলসও অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
- তবে বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম এসব ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
- তবে এশা ও তারাবির নামাজের পরে ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস ও ডাল খেতে পারেন।
যারা শরীরচর্চা করে থাকেন তারা ইফতারের পরে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন এতে ক্লান্তি ভাব কম হবে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও খাবার গ্রহণ করবেন।