বেঙ্গালুরু: সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে নবজাতককে (Newborn) মুখে নিয়ে দৌড় কুকুরের (Dog)। কামড়ে মৃত্যু হয় একরত্তির। এমনই হাড় হিম করা ঘটনা ঘটল কর্নাটকের (Karnataka) শিবমোগা জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনায় হাসপাতালের অন্যান্য প্রসূতিদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। কুকুরটি কোথা থেকে থেকে সদ্যোজাতের দেহ পেল ইতিমধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৭টার নাগাদ কর্নাটকের শিবমোগা জেলায় একটি সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি ওয়ার্ডের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল কুকুরটি। সেই সময় কুকুরটির মুখে মৃত সদ্যোজাতকে দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টি নজরে আসার পর নিরাপত্তারক্ষীরা কুকুরটিকে তাড়া করে। সদ্যোজাতকে কোনওভাবে কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে সদ্যোজাতকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে হাসপাতালের ভিতরে কুকুর ঢুকে গেল এবং তা প্রসূতি বিভাগের ভিতর থেকে নবজাতক শিশুটিকে তুলে নিয়ে চলে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন:NATO | TikTok | সাইবার নিরপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, ন্যাটো মালিকানাধীন ডিভাইসে ব্যান টিকটক
এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কুকুরের কামড়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে নাকি আগেই হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বর্তমানে শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এদিকে এখনও পর্যন্ত শিশুটির অভিভাবকদেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সদ্যোজাতটি কার তা জানার জন্য হাসপাতালের গর্ভবতী মহিলাদের রেকর্ড যাচাই করার জন্য আশেপাশের সমস্ত বেসরকারি এবং সরকারি হাসপাতালের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।