উত্তরাখণ্ড: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand ) হলদওয়ানি (Haldwani) জেলে এইচআইভি (HIV) এডস বিস্ফোরণ। একসঙ্গে ৪৪ জন বন্দি এইচআইভি পজিটিভ (HIV Positive)। সংক্রমিতদের মধ্যে মহিলা বন্দিও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলের মধ্যে একসঙ্গে এতজন বন্দি এডসে কীকরে আক্রান্ত হল, ইতিমধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালে (Sushila Tiwari Hospital) এক ডাক্তার পরমজিৎ সিং জানিয়েছেন, এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের একটি দল মাসে দু’বার রুটিন চেকআপের জন্য জেলে যায়। সমস্ত বন্দিদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। যাদের সামান্য সমস্যাও আছে তাদের ওষুধ দেওয়া হয়। তারা সুস্থও হয়ে যায়। যাদের সমস্যা বেশি থাকে তাদের হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানো হয়। এছাড়াও জেল কর্তৃপক্ষের তরফে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। যাতে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন:Sikkim Avalanche Experience | সিকিমে তুষারধসে চাপা পড়ার স্মৃতি চোখ বুজলেই ভেসে উঠছে
পরমজিৎ সিং আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ১৬২৯ জন পুরুষ এবং ৭০ জন মহিলা এই জেলে বন্দি রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক বন্দীর এইচআইভি পজিটিভ (HIV Positive) ধরা পড়ার পর, জেল প্রশাসনও বন্দীদের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, যাতে এইচআইভি আক্রান্ত বন্দীদের সময়মতো চিকিৎসা করা যায়। ইতিমধ্যে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য একটি অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই ওই বন্দিদের চিকিৎসা চলছে। তিনি জানান, এইচআইভি এইডসের অনেক কারণ থাকতে পারে যেগুলির কোনও একটি দিক থেকে দেখা উচিত নয়। কারাগারে এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া যে কোনও বন্দিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সব বিধি মেনে চলার পরও কীভাবে এই সংক্রমণ হল তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তাই বাকিদের মধ্যেও সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় অস্বস্তির মুখে পড়েছে পুষ্কর সিং ধামির সরকার। জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। এই বিষয়ে হলদোয়ানি জেলের সুপারিনটেনডেন্ট প্রমোদ পাণ্ডে বলেছেন, বন্দিদের মধ্যে কখন কীভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। এর নানা কারণ থাকতে পারে। কোনও একটা নির্দিষ্ট কারণ ধরে নেওয়া ঠিক হবে না।
গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া জেলার রানি অবন্তীবাঈ লোধি সরকারি মেডিক্যালে একই সিরিঞ্জ দিয়ে একাধিক শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর HIV আক্রান্ত হয় এক শিশু। সংক্রমিত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, HIV আক্রান্তের রিপোর্ট আসতেই হাসপাতালের কর্মীরা দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এমনকি মাঝ রাতে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এ