নয়াদিল্লি: বাল্য বিবাহ (Minor Marriage) রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল, সেখানে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Justice D.Y. Chandrachud) বেঞ্চ কেন্দ্রকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশের নির্দেশ দিয়েছে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার নির্দেশ, নাবালিকা বিবাহ রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, কেন্দ্রকে তা আদালতে দ্রুত জানাতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসে।
উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন ব্রিটিশ ভারতে ১৯২৯ সালে ২8 শে সেপ্টেম্বর চালু হয়। এরপর সেই আইনের সংশোধন করা হয় ২০০৬ সালে। দ্য প্রোহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্টে (Child Marriage Act, 2006) মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৪ বছর থেকে বাড়িয়ে ১৮ এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হয়। তবে সেটি হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ ও অ-মুসলমানদের ক্ষেত্রে, এবং জম্মু ও কাশ্মীরেরে বাইরে প্রযোজ্য হয়।
২০০৬ সালের ওই আইনের প্রয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির অভিযোগ, বাল্য বিবাহ রুখতে ওই আইন পাশ হলেও কার্য ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। সেই কারণেই দেশে বাল্য বিবাহ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তারপরই কেন্দ্রের কৌঁসুলিকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সবিস্তারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: IMF Chief | অর্থনীতিতে ঠান্ডা যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে বললেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের প্রধান
এদিন আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মাধবী দিবানের মন্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ধর্মনির্বিশেষে দেশে মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়স ২১ করার জন্য সংসদে বিল পাশ করিয়েছে। বাল্য বিবাহ রোখার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকেই এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, আইন মোতাবেক বাল্য বিবাহ রোখার জন্য আধিকারিক নিয়োগ করার দায়িত্ব রাজ্যগুলির উপরেই বর্তায়।
প্রসঙ্গত, বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে ভারতে অনেক সময়ই দারিদ্রকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করা হয়। পরিবারের লোকজন দাবি করে, মেয়েদের বিয়ে দেওয়াকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে পরিত্রাণ পওয়া এবং খরচ বাঁচানোর পথ হিসেবে দেখা হয়।