কলকাতা: ডিএ (DA) মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কবে হবে ডিএ মামলার নিষ্পত্তি, জানেন না আইনজীবীরাও। ২০ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করছেন ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী (Justice Dinesh Maheshwari)। ফলে গঠিত হবে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ। তাহলে কি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মোতাবেক আগামী বৈঠক থেকে কোনও সমাধাসূত্র বেরতে পারে? সরকারি কর্মচারীদের একাংশ এখন সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে। ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত বছরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় ওই মামলা। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্ধারিত হয় শুনানির জন্য। গত ১১ এপ্রিল শুনানি নির্ধারিত থাকলেও সেদিন মামলা মুলতুবি হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ২৪ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেন ওই বেঞ্চের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী। এর দরুন ২৪ এপ্রিল শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই নিয়ে মোট পাঁচবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।
আরও পরুন: Maharashtra | Ajit Pawar | বিজেপি’র সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী কি অজিত পাওয়ার?
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে প্রথম মামলা হয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটে। ট্রাইব্যুনাল বলে, সরকার মনে করলে ডিএ দেবে। তবে তা কর্মচারীদের অধিকার নয়। স্যাটের রায় চ্যালেঞ্জ করে সরকারি কর্মচারীদের একটি সংগঠন হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট স্যাটের রায় খারিজ করে তা পুনর্বিবেচনার জন্য আবার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। এবার ট্রাইব্যুনাল বলে, রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতে হবে। তা চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার।
হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামনন্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। তিন মাসের মধ্যে তা মিটিয়ে দিতে হবে। তিন মাসের মাথায় রাজ্য সরকার সেই পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় হাইকোর্টে। আদালত পুরনো রায়ই বহাল রাখে। এর পর সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে।
বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর অবসরের খবরে আশাহত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কবে হবে ডিএ মামলার নিষ্পত্তি।