কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন টি এস শিভগননম (T S Sivagnanam)। তাঁকে শপথ গ্রহণ পাঠ করান রাজ্যপাল সিভি আনন্দবোস। উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বিচারপতি টি এস শিভগননমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের অবসরের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলান তিনি। উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী মলয় ঘটক, মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবীরা। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীব অরুণাভ ঘোষ। চিরচারিত রীতি মেনে এদিন এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
আরও পড়ুন: BJP Joinning | Dinhata | ফের ধাক্কা, বিজেপিতে যোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সহ ২০০ পরিবারের
এদিন এই অনুষ্ঠান কলকাতা হাইকোর্টের ইউটিউবের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন পরে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি পেল কলকাতা হাইকোর্ট। এতোদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন টি এস শিভগননম। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের অনুষ্ঠানে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা যায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাশাপাশি আসনে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মেয়র ববি হাকিমকে। বস্তুত, গত ১ মে সোমবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিস কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদের জন্য। গত ৩০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অবসর গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিচারপতি টিএস শিভগননম চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে বিএসসি করেন। মাদ্রাজ ল কলেজ থেকে পঠন পাঠন করেন। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বার কাউন্সিল অফ তামিলনাড়ুর সদস্য হন তিনি। ২০০৯ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত জাজ হিসেবে নিযুক্ত হন। পরে ২০১১ সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন।