এলাহাবাদ: অযোধ্যায় (Ayodhya) হিন্দু প্রধান ওয়ার্ড থেকে জয় পেলেন সংখ্যালঘু প্রার্থী (Minority Candidate)। রাম অভিরাম দাস ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন সুলতান আনসারি (Sultan Ansari)। এই ওয়ার্ডের নামকরণ হয় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম অনুসারে। ওই এলাকা হিন্দুত্বের স্নায়ু কেন্দ্র নামে পরিচিত। শনিবার পুর নির্বাচনের ফল ঘোষণায় এই অবাক করা ফল দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, অযোধ্যায় মেয়র নির্বাচনে (Mayor Election) বিজেপি জিতেছে। ৬০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৭টি ওয়ার্ড। সমাজবাদী পার্টি ও নির্দল ১৭টি ও ১০টি ওয়ার্ডে জিতেছে। সুলতান আনসারি (Sultan Ansari) এবারই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিল।
আনসারি বলেন, এই ঘটনা অযোধ্যায় হিন্দু মুসলিম সৌভ্রাতৃত্ব ও সহাবস্থানের সেরা উদাহরণ। হিন্দু ভাইয়েরা আমাকে অন্য ধর্মের মানুষ বলে আলাদা করে ভাবেননি। তাঁরা সমর্থন করেছেন। তাই আমি জয় পেয়েছি। এই ওয়ার্ডে ১১ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। ৩ হাজার ৮৪৪টি ভোটারের মধ্যে মুসলিম ভোটার ৪৪০টি। জয়ী প্রার্থী ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছে এখানে। মোট ২৩৮৮ জন ভোট দিয়েছেন। আনসারি ৯৯৬টি ভোট পেয়েছেন। সুলতান অন্য নির্দল প্রার্থী নগেন্দ্র মাঝিকে হারিয়েছেন। ৪৪২ ভোটে হারিয়েছেন। বিজেপি এখানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সুলতান বলেন, আমি এই এলাকার বাসিন্দা। আমার পূর্ব পুরুষেরা এখানে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। যখন নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিই, হিন্দু ভাইয়েরা আমাকে সমর্থন করেন এবং এগিয়ে যেতে বলেন।
আরও পড়ুন: Karnataka Congress | কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে সিদ্দারামাইয়া? অবজার্ভার নিয়োগ করল কংগ্রেস
স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ কুমার বলেন, অনেকেই মনে করেন কী করে অযোধ্যায় সংখ্যালঘুরা বসবাস করেন। এবার সবাই জানতে পারলেন, এখানে তাঁরা বসবাসই করেন না ভোটে জিততে পারেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী সৌরভ সিং বলেন, অযোধ্যা রাম মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। হিন্দুদের মতো মুসলিমদের কাছেও অনেক প্রিয়। কারণ, এখানে অনেক পুরনো মসজিদ ও স্থাপত্য রয়েছে। উত্তর প্রদেশে মেয়র নির্বাচনে ১৭টির মধ্যে বিজেপি ১৬টিতে জয়ী হয়েছে। অযোধ্যায় মন্দির শহরে জয়ী হয়েছেন গিরিশপতি ত্রিপাঠি। সমাজবাদী পার্টির আশিসকে ৩৫ হাজার ৬৩৮ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। ত্রিপাঠি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৯৪ ভোট। অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রার্থী রেহান তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০৭টি ভোট।