কলকাতা: এগরার ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপর চাপাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) টুইটে লেখেন, ‘১০০ দিনের টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। বিজেপির অমানবিক সিদ্ধান্তের ফলে অসহায় সাধারণ মানুষ বিপজ্জনক কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলায় মনরেগা-র তহবিলের অনুপস্থিতি গরিব লোকদের মরিয়া করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব মেদিনীপুরে ন’জনের মৃত্যু আপনাদের হাতে হয়েছে।’
Left helpless by @BJP4India‘s inhumane decision, people are being coerced into taking up hazardous jobs.
Absence of MGNREGA funds in Bengal has left the poor desperate. PM @narendramodi, the death of 9 people in East Midnapore is on your hands.https://t.co/UX9VZZyNkS
— Bratya Basu (@basu_bratya) May 18, 2023
এদিনই সাংবাদিক বৈঠকে প্রায় একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখেও। তাঁদের বক্তব্য, ‘রাজ্যের মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। তাই নিরুপায় হয়েই এই সব বোমা-বাজি তৈরির কাজে নামছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। এর জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)।’ পাশাপাশি এগরার ওই ঘটনার জন্য শশী-কুণাল বিজেপিকেও দায়ী করেন। তাঁরা বলেন, ‘ওখানে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য আছেন। এছাড়া ওখানে বিজেপির সাংসদও রয়েছেন। বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনওদিন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি। কেন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু বাগকে পালাতে দিলেন? কেন ঘটনার পর পুলিশকে খবর দিলেন না?’
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই হাজির হব, মন্তব্য অভিষেকের
উল্লেখ্য, এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগকে (Bhanu Bag)ওড়িশা থেকে এদিনই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ ও ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকেও। বর্তমানে ওড়িশার বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে অভিযুক্ত ভানুর চিকিৎসা চলছে। কলাপাতা মোড়ানো অবস্থায় তাঁর গা ঢেকে রাখা হয়েছে। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশের বেশিই পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এগরার এসডিপিও মহম্মদ বদরুজ্জামান। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর, সেই অবস্থাতেই বাইকে করে ভিনরাজ্যে চম্পট দেন তিনি। এরপর তাঁকে মিথ্যে কথা বলে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বলা হয়, সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তারই মধ্যে বিজেপিকে এবার পাল্টা দিল তৃণমূল।