চণ্ডীগঢ়: বর্ষার ধান চাষীদের ( Paddy Sowing) কাছে বছরের সেরা মরশুম। তার জন্য বৃষ্টির (rainfall) দিকে চেয়ে থাকেন কৃষকরা (Farmers)। এগিয়ে আসছে চাষের মরশুম। বাংলায় (West Bengal) যখন প্রবল গরমে চাতক পাখির মতো সবাই বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে সেসময় পাঞ্জাব, হরিয়ানায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। ধান রোপণের আগে এই প্রবল বৃষ্টি। গত এক সপ্তাহ ধরে এই বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পঞ্জাবের বেশিরভাগ ও হরিয়ানার একাধিক জেলা। বিশেষ করে মঙ্গলবার গভীর রাতে ও বুধবার ভোরে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে পঞ্জাবে ১৯.৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। হরিয়ানা ও চণ্ডীগঢ়ে ৭.৭ মিমি ও ২২.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের বৃষ্টির সঙ্গে তুলনা করলে পঞ্জাবে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হয়েছে এবার। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এই অত্যধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত বছর এই সময় বৃষ্টির ঘাটতি ছিল সেখানে। বর্ষা বৃহস্পতিবার কেরলে ঢুকে পড়েছে। তারই মধ্যে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পঞ্জাবের কৃষি দফতরের জেলা ট্রেনিং অফিসার ড. অমৃক সিং বলেন, এটা চাষের পক্ষে অনুকূল প্রবণতা। দুই রাজ্যে প্রায় ৪৩ লাখ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। ওই এলাকার ৪৫টি জেলায় বিশেষ করে পঞ্জাবের ২২টি জেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। টার্ন তরণ, বাথিন্ডা বর্ণালা, ফিরোজপুর, পাঠানকোট ও অমৃতসরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বাকি ১৬টি জেলাতেও ভালো বৃষ্টি হয়েছে। হরিয়ানার ২২টি জেলার মধ্যে ৯টি জেলায় স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাকি জেলাগুলিতে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফতেবাদে ৪৭০ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। তারপরেই রয়েছে শীর্ষা, ঝাজ্জর ও সোনপাত। সেখানে যথাক্রমে ৪০২ শতাংশ, ২১২ শতাংশ, ১৭০ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই বৃষ্টি পঞ্জাব, হরিয়ানার জন্য আশীর্বাদ হতে চলেছে। কারণ সামনেই ধান চাষের মরশুম আসছে। এর ফলে চাষের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের অপচয়ও বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি কমিশনের
পঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Punjab Agricultural University) একজন বরিষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী বলেন, এর ফলে অল্প সময়ের ধান চাষ শুরু করে দিতে পারে পঞ্জাব। যা ১১৫ দিন থেকে ১৪০ দিনে ফলন দেয়। ধান চাষের জমিতে প্রচুর জলের দরকার হয়। দু থেকে তিন ইঞ্চি জলস্তর দরকার হয় চারা রোপণের অন্তত তিন মাস। এবছর প্রাক বর্ষার বৃষ্টির জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেক বেশি ধানের চারা রোপণ করা যাবে। এখন তিন চার দিন উজ্বল রৌদ্র দরকার। যা চাষের পক্ষে ভালো হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।