কলকাতা: ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ (Didi No 1) যেন তাঁকে ছাড়া ভাবা দায়। তাঁর অনুপস্থিতি মেনে নিতে নারাজ অনেকেই। এই শোয়ের মাধ্যমেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সকলের ঘরে ঘরে। অভিনেত্রী (Actress) রচনা বন্দোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। বড় পর্দা থেকে অনেকদিন আগেই নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার নতুন এক ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন তিনি। যদিও ২০২১ সালে নিজের প্রথম শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। এখন রমরমিয়ে চলছে সেই ব্যবসা। এ বার নিজের ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করলেন।
শোনা যাচ্ছে, শাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি এ বার নিজস্ব প্রসাধনী সংস্থা খুলতে চলেছেন রচনা। সেখানে নাকি তাঁর নামেই রূপসজ্জার সামগ্রী পাওয়া যাবে। ঘটনায় অভিনেত্রীর তরফে স্বীকারোক্তি না মিললেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অগাস্ট মাসের মধ্যেই নাকি নতুন ব্যবসা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। তার জন্য ব্যবস্থাও নাকি সেরে ফেলেছেন। এবার শুধুই মার্কেটে পা রাখার পালা। কিন্তু পারবেন তো? এত এত প্রসাধনী ব্র্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু তো রাখতেই হবে। নিশ্চই সেই প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:Kiara Advani | Sandal Price | কিয়ারার স্যান্ডেলের দাম!
শেষ কয়েক বছরে স্টু়ডিয়োপাড়ায় একটি ট্রেন্ড বেশ লক্ষণীয়। বেশির ভাগ অভিনেতাই অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করেছেন। কেউ খুলেছেন প্রযোজনা সংস্থা, তো কেউ শুরু করেছেন ক্যাফে। কেউ আবার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন, কেউ আবার শুরু করেছেন নিজস্ব শাড়ি, জামা-কাপড়ের ব্যবসা। তাদের মধ্যে একজন হলেন রচনা। অভিনেত্রী নিজের পরিচয় গড়ার জন্যই খুলেছেন শাড়ির ব্যবসা। এই ব্যবসা শুরু করার পর অনেক কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল নায়িকাকে।
রচনাকে ট্রোল করে অনেকে বলছেন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাচ্ছেন না তাই বাধ্য হয়ে শাড়ি বিক্রি করতে বসেছেন রচনা। কেউ আবার বলছেন রচনাস ক্রিয়েশন থেকে কিনবেন কেন? কেউ কেউ আবার বলছে, সেলেব্রিটিরা বুটিক খুলে বসলে, যাঁরা ছোট ব্যবসায়ী তাঁদের ক্ষতি হয়ে যাবে। ট্রোলারদের মুখের উপর জবাবও দেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এসব ট্রোলারদের নিয়ে ভাবি না। কারণ কেউ তো আমাকে এক পয়সা দিয়ে হেল্প করবে না। প্রথম কাজে মাত্র ৪০০ টাকা পেয়েছিলাম। আজ আমি যেখানে তার জন্য নিজেই সবটা করেছি। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে একটা বয়সের পর বিনোদনের জগতে কাজ কমে যাবে। তখন আমাকে তো রোজগার করতে হবে। তাই এখন থেকেই কেন বাছব না বিকল্প পথ।’