নানুর: ভাঙড় (Bhangor) থেকে ক্যানিং, মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসছে দফায় দফায় অশান্তির খবর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসকদল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিজয়োল্লাসে মাতলেন তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। নানুর (Nanur) ব্লক কার্যত বিরোধীশূন্য হওয়ার আনন্দে এদিন সেখানে চলল তৃণমূলের আবির খেলা ও মিছিল।
নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, নানুর পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৩৩ টি। বিরোধীরা ১০-১২টির বেশি মনোনয়ন দিতে পারেননি। গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন ১৯টি। সেখানেও বিরোধীদের বেশি মনোনয়ন জমা পড়েনি। স্বাভবিকভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলেই থাকছে। তাই বিজয় মিছিল এবং আবির খেলা হল বলে তৃণমূল নেতার দাবি।
আরও পড়ুন:Panchayat Election 2023 | Birbhum | ইলামবাজারে বিজেপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ
সুব্রতর আরও দাবি, বিরোধীরা আসলে প্রার্থী খুঁজে পায়নি। শুধুই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছ। তাঁদের পায়ের তলার মাটি নেই। স্থানীয় সূত্রের খবর, মনোনয়নের যে হিসেব এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে তাতে নানুর ব্লকে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে। ২০১৮ সালে এই বীরভূমেই পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের সিংহভাগ আসনেই বস্তুত কোনও ভোট হয়নি। সেই সব আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলই তখন বীরভূমের শেষ কথা ছিলেন। তিনি উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে বলে আওয়াজ তুলেছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েতের ওই ভোটকে অনুব্রত একাই প্রহসনে পরিণত করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন।
 কর্মীরা।){kind=link}