নয়াদিল্লি:মঙ্গলবার শুরু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) গুরুত্বপূর্ণ মনিটরি (Monetary Policy Committee) পলিসি কমিটির বৈঠক। আবার বাড়বে কি রেপো রেট (Repo Rate) সহ নানা হার? শঙ্কা সম্ভাবনার দোলাচলে ভারতীয় বাণিজ্য মহল (Indian Commerce Industry)। সাবধানী লগ্নিকারীরা শেয়ার (Share) বেচে ঘরে তুলে রাখছেন নগদ। মঙ্গলবার শুরু হওয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটি বা এমপিসি-র বৈঠক চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের সভাপতিত্বে এই মিটিংয়ে চর্চা হবে মূল্যবৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি নিয়ে। অদূর ভবিষ্যতে দামের চলাচল কেমন হবে, তা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রেপো, রিভার্স রেপো রেট ইত্যাদি সম্পর্কে।
থমকে থাকবে রেপো? করোনা লকডাউনের ঠিক আগে রেপো রেট ছিল ৫.১৫ শতাংশ। ২৭ মার্চ ২০২০, লকডাউনের শুরুতেই কমানো হয় রেপো রেট, হয় ৪.৪০ শতাংশ। ওই বছরের ২২ মে আবার কমে রেপো দাঁড়িয়েছিল ৪ শতাংশে। ব্যাঙ্ক জমা ও স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমে অনেকটাই। মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় সুদের হার নেমে যায়। ফলে ব্যাঙ্কে বা স্বল্প সঞ্চয়ে জমা টাকার প্রকৃত মূল্য কমে যেতে থাকে। দু’বছর পর মূল্যবৃদ্ধির চাপে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৪ মে ২০২২ রেপো রেট বাড়ায়। হয় ৪.৪০ শতাংশ। ৮ জুন ২০২২ আবার বেড়ে হয় ৪.৬০ শতাংশ। ৫ আগস্ট বেড়ে হয় ৫.৪০ শতাংশ। এতেও মূল্যবৃদ্ধি বাগ না মানায় বাড়তে থাকে রেপো রেট। ৩০ সেপ্টেম্বর হয় ৫.৯০ শতাংশ। ৭ ডিসেম্বর হয় ৬.২৫ শতাংশ।৮ জানুয়ারি ২০২৩ আবার বেড়ে রেপো রেট হয়েছিল ৬.৫০ শতাংশ। এই সময়ে মূল্যবৃদ্ধি থমকে দাঁড়াবার লক্ষণ দেখায়। চলতি বছরের এপ্রিল ও জুন বৈঠকে রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকে।
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ ফিরে পেয়েই টুইটারের বায়ো বদল রাহুলের
খুচরো দামবৃদ্ধি মার্চে ছিল ৫.৭ শতাংশ। এপ্রিলে ৪.৭ এবং মে মাসে ৪.২৫ শতাংশ। কিন্তু জুন মাসে আবার মাথা চাড়া দেয় খুচরো দামবৃদ্ধি। হয় ৪.৮১ শতাংশ। জুলাই মাসে তা আরও বাড়ার শঙ্কা। এপ্রিলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি মাইনাস ০.৭৯ শতাংশ, মে মাসে মাইনাস ৩.৪৮ এবং জুনে মাইনাস ৪.১২ শতাংশ, অর্থাৎ পাইকারি দাম কমেছে। জুলাই মাসের খুচরো ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানা যাবে ১২-১৩ আগস্ট, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মিটিং শেষ হবার পরে। তাই পূর্বাভাসের উপর নির্ভর করতে হবে শীর্ষ ব্যাংককে। তারা রেপো ও রিভার্স রেপো বাড়াতে পারে অথবা একই রাখতে পারে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় কৃষি উৎপাদনে ধাক্কা, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আরও বাড়তে পারে দরদাম। তবে এখনই না বাড়িয়ে একই জায়গায় রাখা হতে পারে রেপো রেট, বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানাবেন।