কলকাতা: ট্রাম (Tram) পুনরুজ্জীবনে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার (State Government)। দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসতে বলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বৈঠকে আলোচিত তথ্য রিপোর্ট আকারে পেশ করতে হবে।
১০ জনের বেশি সদস্য নিয়ে এই কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে পরিবহণ দফতরের ৭জন আধিকারিক রয়েছেন। শতাব্দীর প্রাচীন ট্রামকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় তাই নিয়ে ভাবনাচিন্তা এবং পদক্ষেপ করবে এই কমিটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে এই ট্রামকে আধুনিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। দুষণহীন যান হিসেবে ট্রামের গুরুত্বকে অবগত করাবে। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে কাজ করবে এই কমিটি।
ট্রাম পরিষেবা সম্পর্কে রাজ্য সরকারের নীতি মামলাকালীরা জানতে চেয়েছিলেন। মহানগরীর বুকে ১১৬.৬২ কিমি ট্রাম লাইন চালু ছিল। যা এখন কমে হয়েছে ৩৩.০৪ কিলোমিটার। ছিল কুড়িটি রুট। এখন তিনটি রুটে নাম কে ওয়াস্তে চলছে। কিন্তু কেন? এটাই ছিল মামলাকারীদের প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: নিয়োগের সব রিপোর্টই নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেত, দাবি পার্থর
হাইকোর্ট বলেছে, ট্রাম কলকাতার ঐতিহ্য। কল্যাণকামী প্রশাসনকে তা রক্ষা করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে। দুর্গাপুজেকে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় নাগরিক সমাজ আনন্দিত। একইভাবে ট্রাম কলকাতাবাসির গর্ব। এটাও সবাইকে মনে রাখতে হবে। একুশে জুনের শুনানিতে বেঞ্চ ট্রাম লাইন তুলে ফেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ট্রাম ডিপো বিক্রির ক্ষেত্রেও অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ট্রামপরিষেবা নতুন করে চালু করার স্বার্থে আদালত ওই কমিটি গড়তে বলে। ১৪টি নাম এদিন সরকারি তরফে পেশ হয়। সেখান থেকে কিছু নাম বাদ দিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫০ বছর ধরে কলকাতার বুকে ট্রাম চলছে । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় লেগেছে শহরে। তাই এখন সেই ট্রাম প্রায় বিলুপ্ত পথে। বর্তমানে কলকাতার রাস্তায় হাতেগোনা কয়েকটি রুটে ট্রাম চলে। তাও সেগুলির অবস্থা ভালো নয়। এই অবস্থায় কলকাতার এই প্রাচীন পরিবহণকে বাঁচাতে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই গঠিত হল কমিটি।