কাটোয়া: শিল্পীর হাতের ছোঁয়া, শাড়িতে ফুটে উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ। টানা ৩২ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য তাঁতের শাড়ি তৈরি করেছেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (Katwa) মূস্থূলি গ্রামের জগবন্ধু দালাল। তবে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কাছে সেই উপহার পৌঁছে দিতে পারেননি ওই শিল্পী। কালীঘাটের বাড়ি কিংবা নবান্নে (Nabanna) শাড়িটি পৌঁছে দিতে চাইছেন জগবন্ধু।
প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি না করলেও, মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলো তাঁকে প্রভাবিত করেছে। বেশ কিছু প্রকল্পের সুবিধাও ভোগ করছেন নিজে। মমতার প্রতি এই অনুরাগ থেকেই তাঁতের শাড়িতে তাঁর(মমতা) অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন ওই তরুণ শিল্পী। তাঁত যন্ত্রে সুতোর কারসাজিতে শাড়ির আঁচলে ফুটে উঠেছে সাদা শাড়ি পরিহিতা মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সুতো দিয়েই শাড়ির উপর লেখা হয়েছে তাঁর বিভিন্ন প্রকল্পগুলোর নামও।
আরও পড়ুন: গ্রামোন্নয়নে কেন্দ্র থেকে ১৬০০ কোটি টাকা পেতে চলেছে রাজ্য
জগবন্ধু বলেন, ‘আমি দল করিনা, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে আমার ভালো লাগে। তিনি মানুষের জন্য অনেক কিছু করছেন। তাই ধন্যবাদ স্বরূপ এই শাড়ি আমি বুনেছি।’ জগবন্ধুর ইচ্ছে স্বয়ং মমতার হাতে এই শাড়ি তুলে দেবেন তিনি। ‘অনেক কষ্ট করে, অনেক সময় নিয়ে শাড়িটা বুনেছি। আমার ইচ্ছে নিজের হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে এই শাড়ি উপহার দেবার,’ বক্তব্য শিল্পীর।
বছর ৩০এর জগবন্ধু ঘোরানাশ গ্রামের তাঁতি পাড়ার বাসিন্দা। বাবা বনপতি দালালের কাছেই ১৫ বছর বয়স থেকে তাঁতের কাজ শিখেছেন জগবন্ধু। এখন তাঁত বুনেই সংসার চালায় তাঁর। শাড়িতে মমতার অবয়ব ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছে নিয়ে মাস খানেক আগে শাড়ি বোনার কাজ শুরু করেছিলেন। ৩১ দিন ধরে অবিরাম কাজ করে বৃহস্পতিবার শাড়ি বোনার শেষ করেছেন তিনি।
জগবন্ধু জানান, যে শাড়ির উপর নক্সা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, এমনিতে ওই শাড়ি বুনতে দিন দুইয়ের বেশি সময় লাগে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তুলতে সময় লেগেছে অনেকটা। নীল পাড় সদা শাড়ি, হাওয়াই চটি, হাতে ঘড়ি সবই সুতোর বুননে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন ওই শিল্পী। তিনি বলেন, ‘আমার একটাই তাঁত যন্ত্র, একটা কাজ শেষ না হলে আর একটা শুরু করতে পারবো না , তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করার চেষ্টা করেছি।