কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে দ্বিতীয় মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননম (Chief Justice T S Sivagnanam) এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। মামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মামলকারী আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন তোলেন, কেন হস্টেলে কোনও সিসিটিভি ছিল না? প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে দিনে পর দিন সিনিয়ররা জুনিয়রদের র্যাগিং করছে কীভাবে?মামলার আবেদনে তৃণমূল নেতার দাবি, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ড্রাগ নেওয়ার মতো অনৈতিক কাজকর্ম হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মামলাকারী আইনজীবী কল্যাণ।
আরও পড়ুন: ছেলে নির্দোষ, অসিত কোনও ভাবেই যুক্ত নয়, দাবি যাদবপুর-কাণ্ড ধৃত প্রাক্তনীর মার
মামলকারী আইনজীবীর বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও, তা ভেঙে দেওয়া হয়। অবাধে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এর পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে নিশানা করে কল্যাণ বলেন, আচার্যের কাজ কেবল উপাচার্য নিয়োগ করা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দিকেও তাঁর নজর দেওয়া উচিত। এই মামলায় আর এক আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। পড়ুয়াদের জন্য ডি়জিটাল পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে। বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে নাম নথিভুক্ত করে ঢুকতে হবে।
র্যাগিংয়ের জেরেই ওই প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কী বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি রিপোর্টেও বলা হয়েছে ওই ছাত্রকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত প্রাক্তণী ও বর্তমান মিলিয়ে নয়জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আগেই একটি মামলা করেছেন সিপিএময়ের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দায়ের হল দ্বিতীয় মামলা।