শান্তিনিকেতন: রাজ্য সরকারের পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। বেছে বেছে বিশ্বভারতীর আধিকারিক, অধ্যাপক, কর্মীদের আইনকে অপব্যবহার করে হেনস্থা করছে পুলিশ। পাশাপাশি দুজন পড়ুয়া এবং তিনজন অধ্যাপক ষড়যন্ত্র করে বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এমনই অভিযোগ তুলে যাতে এধরনের অপচেষ্টা কেউ পুনরায় করার সাহস না পায় তারই প্রতিবাদে আবারও বিশ্বভারতীর উপাচার্য অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন। উপাচার্যের পাশাপাশি আধিকারিক, কর্মী, অধ্যাপক এবং বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষরা মিলিতভাবে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন। বুধবার দুপুর থেকে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে ধর্না কর্মসূচি চলে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ধর্নায় বসার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীকে কলুষিত করার জন্য। সেই পদক্ষেপ যাতে ভবিষ্যতে কেউ না নিতে সাহস পায়। তার জন্য আমরা ধর্নায় বসেছি। বিশ্বভারতীর সমস্ত আধিকারিক, অধ্যাপক, কর্মী এবং ভবনের অধ্যক্ষরা এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পুলিশি অত্যাচার। আরো দুজন পড়ুয়া এবং তিনজন অধ্যাপক অন্যায়, অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করা হয়নি, বলছে ময়নাতদন্ত
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন উপাচার্য বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যে অভিযোগ করছি তা কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে না। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে সেটিতে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে পুলিশ। বেশ কয়েক বছর আগে শান্তিনিকেতন পূর্বপল্লীর পৌষমেলার মাঠ দেওয়াল দেওয়ার কাজ চলছিল। বহিরাগতদের তান্ডবলীলা দেখেছিল সকলে। অথচ পুলিশ কোনও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করেনি। আমি নিজে ২১ দিন ধরে বাড়িতে ঘেরাও হয়েছিলাম। পুলিশের লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও তদন্তের কোনও অগ্রগতি নেই। ঘেরাওয়ের নামে মধ্য রাত পর্যন্ত আমাকে অফিসে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়েছিল। এই ঘটনাও পুলিশে লিখিত অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই পুলিশের। পাশাপাশি উপাচার্য বলেন, পুলিশ বিনা অনুমতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে গেলে অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু পুলিশ তা করছে না।