বিজয়ওয়াড়া: অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। শনিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করার পর মধ্যরাত অবধি চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। রবিবার সকালে চন্দ্রবাবুকে পেশ করা হয় বিজয়ওয়াড়ার দুর্নীতি দমন আদালতে। সন্ধ্যায় টিডিপি প্রধানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর ঘোষণা করে আদালত।
গ্রেফতারির পরদিন আজ, রবিবার সকালে আদালতে তোলা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। অন্ধ্রপ্রদেশ দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তেলুগু দেশম পার্টির সভাপতি এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে (Chandrababu Naidu)। শনিবার সকালে নান্দিয়াল পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পূর্ব গোদাবরী জেলায় তাঁর ছেলে নর লোকেশকেও আটক করেছে অন্ধ্র পুলিশ (Andhra Pradesh Police)। ২০২১ সালে এই দুর্নীতির মামলায় চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিজেপি ‘বিষাক্ত সাপ’, ফের আক্রমণ উদয়নিধির, দূরে থাকার পরামর্শ
আদালতে নাইডু আজ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষ কোনও অভিযোগও দিতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে চেয়ে যে আবেদন করেছে তা বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু।
এদিন বিজয়ওয়াড়ার একটি দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আদালতে তোলা হয় নাইডুকে। আদালতে তোলার সময় ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। চন্দ্রবাবুর হয়ে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। আদালত চত্বরে টিডিপির পদস্থ নেতা ও সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছেন। এদিন ভোররাত ৩টে ৪০ নাগাদ নাইডুকে বিজয়ওয়াড়ার সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল কাঞ্চনপল্লির অফিসে তাঁকে টানা ১০ ঘণ্টা জেরা করে।
সূত্রের খবর, দলীয় একটি কর্মসূচির জন্য নান্দিয়ালে ছিলেন তিনি। কর্মসূচিতে ভাষণ দেওয়ার পর একটি বিলাসবহুল গাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চন্দ্রবাবু। সেই সময় এদিন ভোররাতে হানা দেয় সিআইডি এবং অন্ধ্র পুলিশ। সকাল ৬টা নাগাদ চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তেলুগু দেশম পার্টির মুথখপাত্র জানিয়েছেন, গ্রেফতারির সময় পুলিশকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন নাইডু। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদের সময় এতটুকুও সহযোগিতা করেননি তিনি।