কলকাতা: কেন্দ্রের নয়া আইনের বিরোধিতায় সারা দেশজুড়ে ট্রাক চালক এবং খালাসীরা ধর্মঘটের (Truck Strike) শামিল হয়েছেন। পরিবহণ কর্মীদের ধর্মঘটের (Truck Strike) জেরেই তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বসলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধর্মঘটের জেরে গ্যাস পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করলেন গাড়ি চালকরা। শহর থেকে রাজ্য তথা দেশজুড়ে এই ধমর্ঘটের প্রভাবে তেলের সংকট (Oil Crisis) দেখা দিতে পারে। সমস্যায় পড়বেন বেশ কয়েকটি জেলার গ্যাস উপভোক্তারা। এভাবে বিক্ষোভ দীর্ঘ সময় ধরে চললে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পণ্য পরিবহণে।
এই কর্মবিরতীর জেরে আগামী দিন হাওড়া সমস্ত পেট্রোল পাম্প তেল সংকটে বন্ধ হতে পারে! আগামীকাল থেকেই মৌড়ীগ্রাম ইন্ডিয়া ওয়েলের ডিপোতে ট্রাক ধর্মঘটের পথে নামবে। ফলে হাওড়ার সমস্ত পেট্রোল পাম্প গুলিতে তেল না পাবার আশঙ্কায় থেকে যাচ্ছে ! সারা বাংলায় ২৫০০ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে ৭০০ পেট্রোল পাম্প ইতিমধ্যে বন্ধ। এমনটাই জানিয়েছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ সেন।
আরও পড়ুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে নজরদারির নতুন অভিযোগ সিবিআইয়ের কাছে
কেন্দ্রীয় পরিবহন নীতির বিরোধিতায় ট্রাক এবং লরি চালকদের পাশাপাশি অয়েল ট্যাঙ্কর চালকদের একাংশ কর্মবিরতি পালন করছেন। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ২৫০০ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে প্রায় ৭০০ পেট্রোল পাম্প ইতিমধ্যেই ড্রাই হয়ে গেছে। চালকরা ট্যাঙ্কারে তেল তুলতে বাধা দেওয়ায় দুর্গাপুর, আসানসোল, মালদহ , পূর্ব মেদনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের এইচপিসিএল, বিপিসিএল এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানিগুলির পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেলের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি চালক এবং খালাসীরা হলদিয়া , দুর্গাপুর, আসানসোল বিভিন্ন পাম্পে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কের দুপাশে একাধিক পেট্রোল পাম্পে ইতিমধ্যেই ড্রাই হয়ে গিয়েছে। এদিন থেকে রাজ্যের বেশির ভাগ পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সারা দেশজুড়ে তেলের হাহাকার দেখা দেবে বলে মনে করছে তেল সংস্থাগুলি। ট্রাক থমকে থাকায় আগামিদিনে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঠিকমতো বণ্টন করা সম্ভব হবে না। পচে যেতে পারে খাদ্যসামগ্রী।
সংসদে পাশ হওয়া বিলে বলা হয়েছে পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হিট অ্যান্ড রানের (Hit & Run) ক্ষেত্রে কারওর মৃত্যুর পর যদি গাড়িচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, তাহলে ৭ থেকে ১০ বছরের সাজা হবে। ৭ লক্ষ টাকা জরিমানাও গুনতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়াকিং প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ সেন জানিয়েছেন যেহেতু কেন্দ্রীয় নীতি অত্যন্ত কড়া করা হয়েছে তাই চালকরা ট্যাংকার চালাতে অস্বীকার করছেন। তাতেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
আরও অন্য খবর দেখুন