ঢোলাহাট: চোর সন্দেহে থানায় তুলে এনে যুবককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের অভিযোগ মৃতের পরিবারের। মৃত যুবকের নাম আবু সিদ্দিক হালদার, ২২ বছর বয়স। মৃত যুবক ঢোলাহাটের ঘাটবকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগের তির ঢোলাহাট থানার (Dholahat Police Station) বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়দের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র ঢোলাহাট থানা এলাকা। ব্যারিকেড করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা পুলিশের। নামানো হয়েছে ব়্যাফ।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে স্কুলে রেখেই তালা দিয়ে চলে গেলেন শিক্ষিকারা
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। ওইদিন মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদারের বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি হয়৷ এরপর ১ জুলাই ঢোলাহাট থানার পুলিশ মহসিন হালদার ও তাঁর ভাইপো আবু সিদ্দিককে থানায় তুলে আনে বলে অভিযোগ। মহসিনকে দিয়ে ভাইপোর নামে জোর করে চুরির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর সিদ্দিককে থানার মধ্যে দফায় দফায় মারধর করা হয়। ৪ জুলাই কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় আবু সিদ্দিককে। ওইদিন জামিন দেয় আদালত। গুরুতর অসুস্থ আবু সিদ্দিককে মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতলে (Chittaranjan Hospital) ভর্তির চেষ্টা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার পার্ক সার্কাসের (Park Circus) একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাত দশটা নাগাদ যুবকের মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লক আপে পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তুলছে পরিবার। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত এই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢোলাহাট থানার সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। চটি হাতে পুলিশ কর্মীদের শাসাতে দেখা যায় তাঁদের।সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, আদালতে পেশ করার সময় মেডিক্যালে কোন সমস্যা ছিল না। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
দেখুন ভিডিও