কলকাতা: বাংলাদেশে (Bangladesh) বৈষম্যহীন বিক্ষোভে গত পাঁচ অগাস্ট শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পতন হয়। শোনা গিয়েছিল হাসিনার কথায় সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সেই বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ করতে চাননি। বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপর সেনার তত্ত্বাবধানে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় সেখানে। সম্প্রতি একাধিকবার মহম্মদ ইউনুসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন হাসিনা। কিন্তু, সেনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। এবার সেনাকে মহম্মদ ইউনুস সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার ডাক দিলেন হাসিনা। সেই বক্তব্যে তুললেন আমেরিকা, রাষ্ট্রসঙ্ঘের কথাও। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কারণ এখন বাংলাদেশে সেনার ভরসাতেই সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাও টিকে রয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বার্তায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করতে সেনাকে আহ্বান জানান হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউনুস সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ডাক পাবেন না সেনাকর্মীরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে অনেক অর্থনৈতিক সুবিধা রয়েছে। তাই অনেক সেনাই শান্তিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিতে মুখিয়ে থাকেন। হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এখন জঙ্গিরাষ্ট্র। জঙ্গিদের অভয়ারণ্য। মহম্মদ ইউনুস জঙ্গিদের দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। প্রশাসনের সর্বত্র তারা ছড়ি ঘোরাচ্ছে। উল্লেখ্য, সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। চট্টগ্রামের হাজারিগলিতে ব্যবসায়ীদের মারধর, দোকান ভাঙচুর, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। হাসিনার অভিযোগ, ইউনুস প্রশাসনের সর্বত্র জামায়াতে ইসলাম ও তাদের ছাত্র শাখা ছাত্র শিবিরের লোকেদের বসিয়ে রেখেছেন। ছাত্র শিবির আমেরিকায় নিষিদ্ধ। সেখানকার লোকেদের কী করে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে?
আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় গাঁটছড়া বাঁধল ইসরো ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি
দেখুন অন্য খবর: