নয়াদিল্লি: দোরগোড়ায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Vote)। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই আপ (AAP) ও পদ্মশিবিরের (BJP)। মধ্যবিত্তের (Middle) মন রেখে বাজেট পেশ করার পরেই এবার পরবর্তী মিশন ভোট।
এদিকে শুক্রবার এনডিএ (NDA) জোটের সাংসদের দিল্লি ভোটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দিল্লির বাসভবনে ডাকেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda_। কিন্তু নাড্ডার কড়া নির্দেশ এখনই বঙ্গে ফেরা যাবে না।
দিল্লির ভোট না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে। এদিকে এর মধ্যে পড়েছে সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) । তাই এবার দিল্লিতেই সরস্বতী পুজো পালন করবে বঙ্গ বিজেপি।
শুক্রবার বৈঠকে প্রত্যেককে একটি করে বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। কাউকে আবার মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অসাধারণ বাজেট হয়েছে’ আসন ছেড়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়ে প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে দিল্লি ভোটকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবিরকে একের পর ম্যারাথন আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন আপ সুপ্রিমো, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরি ‘যমুনার জলে’ বিষ নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি।
এই সমস্ত বিষয় নিয়ে চাপে গেরুয়া শিবির। ফলে ভোটের আগে আগে কোনও রকম ছাড় দিতে রাজি নন সর্বভারতীয় সভাপতি। দিল্লি দখলের আশা এবারও ছেড়ে দিতে গেরুয়া শিবিরকে পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। সেই রিপোর্ট হাতে আসতেই কোমর বেঁধে ময়দানে ঝাপাচ্ছে বিজেপি।
শুধু দিল্লির সাংসদ, বিধায়ক বা নেতা-কর্মীদের ওপর ভরসা রাখছে না পদ্মপক্ষের শীর্ষ কর্তারা। দলের সমস্ত সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও সাধারণ সম্পাদকদেরও মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। জানা গিয়েছে, এদিন কোন সাংসদ কোন বুথ বা মণ্ডলের দায়িত্বে থাকছেন লিখিত আকারে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সেই এলাকার ভোটের তালিকাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
নাড্ডা জানিয়েছেন, দিল্লির ভোট দলে কাহে প্রেস্টিজ ইস্যু হয়েছে দাঁড়িয়েছে। তাই দলের শরিক সাংসদ ও মন্ত্রীদের দিল্লিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
৩ তারিখ পর্যন্ত প্রচারে শামিল হওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের কৌশল নিয়ে এলাকার নেতা- কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এছাড়াও ভোটের দিন ভোটারদের বুথে নিয়ে কাজও মন্ত্রী-সাংসদদের করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়,মন্ত্রী বা সাংসদরা নতুন দিল্লির রাস্তাঘাট চিনলেও বাকি অংশ সম্পর্কে কিছু জানে না।
এত কম সময়ের মধ্যে এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকা কিভাবে চিনবেন, তাই বেশ চিন্তায় পড়েছেন তারা। তার উপর কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ভোটের দিন এলাকার ভোটার ছাড়া বাইরের কারও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই ভোটের দিন নিজে উপস্থিত থেকে কীভবে ভোটারদের বুথে আসার জন্য উৎসাহিত করবেন, তা নিয়েও চিন্তায় তারা।
দেখুন অন্য খবর: