কাবুল: কাবুলিওয়ালার দেশে এ বার স্থায়ী পতাকা উড়বে তালিবানের। এখনও সরকারিভাবে হয়নি ক্ষমতা হস্তান্তর। এর মধ্যেই তালিবানের এক সিনিয়র সদস্য মোল্লা আহমাদউল্লাহ ওয়াসিক কাবুল থেকে জানাল, এই গোষ্ঠী স্থায়ী সরকার গঠন করতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তালিবান নেতার গলায়।
বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে কিছুদিন আগেই ওয়াসিক দাবি করেছে, খুব দ্রুত নতুন সরকার গঠন হতে চলেছে কাবুলে। আফগানিস্তানে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে সময় লাগছে কিছুটা। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সব দলের মতামত নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চায় সরকার।
তালিবানদের কব্জায় কাবুল প্রায় ৬ দিন হয়ে গেল। সেই দিন থেকে সে দেশে শূন্য রয়েছে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ। প্রাণ বাঁচাতে সে দেশ থেকে পালিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান আশরফ ঘনি। এখনও পর্যন্ত সেই পদে কাউকে বসায়নি তালিবান। কিছু প্রদেশের গভর্নর, মেয়র এবং কিছু বিশেষ বাহিনীকে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ পাহারার জন্য নিযুক্ত করেছে তারা।
ওয়াসিকের মতে, দোহায় তালিবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা বড়দার কান্দাহার প্রদেশ থেকে কাবুলে এসেছে এবং অন্যান্য দলের সঙ্গে আন্ত-তালিবান বৈঠক ও আলোচনায় ব্যস্ত। আলোচনা শেষে খুব তাড়াতাড়ি আফগানিস্তানে সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াসিক।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বিগ্ন, শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার আর্জি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের
শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, এই তালিবান একদম অন্যরকম। আগেরবারের সেই হিংস্রতা নেই। গলার সুর অনেকটাই নরম। চরিত্র পাল্টে গেছে তাদের। যদিও বিশেষজ্ঞমহলের দাবি, ক্ষমতা গঠনের আগেই কোনওরকম বিতর্ক চাইছে না তারা। তাই ধীরে চলো নীতি নিয়েছে এই বারের জঙ্গি তালিবান।
আরও পড়ুন: কাবুল এয়ারপোর্টের ভাইরাল ‘বেবি’ চিকিৎসার পর ফিরে এল বাবা মায়ের কোলে