ওয়েব ডেস্ক: এবার চীনের (China) বিদেশ মন্ত্রক আমেরিকাকে (US) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলল, আগুন নিয়ে খেলবেন না। তাইওয়ান চীনের একটি রাজ্য। বিচ্ছিন্নবাদীরা অবৈধভাবে সরকার চালাচ্ছে সেখানে। চীন সরকারের অভিযোগ, আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেজসেথ (Pete Hegseth) ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indo Pacific Region) ভাগ করার চেষ্টা করছেন। সিঙ্গাপুরে শাংরি লা ডায়লগ ডিফেন্স ফোরামের অনুষ্ঠান থেকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চীনকে বিপদ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
শনিবার পিট হেজ সেথ বলেছিলেন, চীনের মোকাবিলায় এশিয়ায় আমেরিকার সহযোগী দেশগুলি প্রস্তুত হন। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করুন। এদিন চীনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকার বক্তব্য প্ররোচনামূলক। আমেরিকার বিরুদ্ধে ঠান্ডা যুদ্ধ মানসিকতা পোষণ করার অভিযোগও তুলেছে চীন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার এয়ারবেসে পরমাণুবাহী বিমানে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিশ্বে আমেরিকাকে টক্কর দিচ্ছে চীন। এই দুই প্রভাবশালী দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে গণ্ডগোল লেগেই রয়েছে। বিশেষ করে গত এপ্রিলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক চাপানোর জেরে উত্তেজনা বেড়েছে। পাল্টা চীনও আমেরিকার পণ্যে প্রচুর শুল্ক চাপায়। এশিয়া মহাদেশে দক্ষিণ চীন সাগরে চীন আধিপত্য বাড়াচ্ছে। যা নিয়ে ফিলিপিন্স, আমেরিকার সঙ্গে গণ্ডগোল চীনের। এছাড়া আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতেও চীনের আধিপত্য বাড়ছে। যেখানে একচেটিয়া এতদিন আমেরিকার প্রভাব ছিল। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে মূলত লড়াই হয়েছে। সেখানে বিশ্বশক্তির অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছে চীন। অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির দিক থেকে চীন পাল্লা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহেই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারত, চীন ও রাশিয়ার নতুন অক্ষের। এই তিন শক্তিশালী দেশের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। যা অনেককে জওহরলাল নেহরু, মাওজেদং ও নিকিতা ক্রুশ্চেভকে মনে করিয়ে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে তারপরেই চীনকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিবের এই হুঁশিয়ারি সামনে আসে।