কলকাতা: পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষক আন্দোলনের নেতা মইদুল ইসলাম (Moidul Islam)৷ কিন্তু ওই মামলায় এখন শুনানির প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা৷ আদালত জানিয়েছে, পুলিশ যেখানে ব্যবস্থাই নিল না সেখানে এই মামলায় শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই৷ যদি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে আবেদনকারী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন৷ আদালত তখন বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে৷
আরও পড়ুন: জোড়া খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে ঘটনাস্থল লাগোয়া জলাশয়ে তল্লাশি পুলিশের
গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন শিক্ষক মইদুল৷ কিন্তু আদালত এদিন তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি৷ অর্থাৎ যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন মইদুল৷ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করতেই বেলেঘাটার শ্বশুরবাড়ির ফ্ল্যাটে গিয়েছিল নিউটাউন নর্থ থানা এবং বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মইদুলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মত গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে থানায়৷ অন্যায়ভাবে বদলির প্রতিবাদে বিধাননগরে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কয়েকজন শিক্ষিকা৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন মইদুলও৷ অভিযোগ, তিনিই শিক্ষিকাদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন৷
আরও পড়ুন: রেলপথ পরিদর্শনে এসে সবুজ জলদাপাড়া দেখে মুগ্ধ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ৷ মইদুলের অভিযোগ, কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ এসেছিল তাঁকে গ্রেফতার করতে৷ তিনি অত রাতে থানায় যেতে চাননি৷ এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ কথাকাটাকাটি চলে৷ ঘণ্টা ২ ধরে চলে টানাপড়েন৷ শেষ পর্যন্ত মইদুলকে গ্রেফতার না করেই ফিরে যায় পুলিশ৷ পুলিশের এই অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে আদালতে যান শিক্ষক আন্দোলনের নেতা৷ তাঁর প্রশ্ন, একজন শিক্ষককে কি আগে নোটিশ দিয়ে বলা যেত না তাঁর কী অপরাধ? মইদুল জানান, পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তারা কোনও কথা শোনেনি৷ ২০০ জন পুলিশ মিলে বাড়ি ঘিরে রেখেছিল৷ বাইরে আসার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিল৷ মইদুলের দাবি, প্রশাসন শিক্ষক আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে বলেই তাঁর উপর আক্রমণ নেমে এসেছে৷ কিন্তু তিনি মাথা নত করবেন না বলেই জানান৷