কলকাতা: টার্গেট ২০২৪। তার আগে এখন থেকেই ঘর গোছাতে নামল রাজ্য বিজেপি। এমন একটা সময় যখন নতুন এবং পুরনো বিজেপির প্রশ্নে দলে টানাপড়েন অব্যাহত। ঘর গোছাতে নেমে বুথভিত্তিক সমীক্ষার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তথ্য সংগ্রহ করে মোটামুটি একটা ধারণা করতে চাইছে বাংলায় এই মুহূর্তে তাদের জনসমর্থন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। কেননা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপিতে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। পরপর সবকটি উপনির্বাচন, বা পুরসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দলের।
পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘বুথস্বশক্তিকরণ অভিযান’।এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সবকটি বুথে পৌঁছতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি আদৌ রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা তা নিয়ে সমীক্ষার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুথস্বশক্তিকরণ অভিযান’। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান প্রকল্প, অটল পেনশন যোজনা, গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা, এরকম একাধিক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন কিনা তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীরা।
আরও পড়ুন Calcutta HC: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আসলে বুথস্তরের ভোটারদের কাছে বিজেপি’র প্রশ্ন থাকবে কেন্দ্রের প্রকল্পের সুযোগ তাঁরা পাচ্ছেন কিনা? না পেলে কেন পাচ্ছেন না? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হল, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ পেয়ে থাকলে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন কিনা? বিজেপি’র কেন্দ্রীয় রিপোর্ট, বাংলার বহু মানুষ কেন্দ্রের সুবিধা পেয়েও পদ্মে ভোট দেন না। একইসঙ্গে বিজেপি’র দাবি কেন্দ্রের বহু প্রকল্পের নাম বদলিয়ে রাজ্য সরকার নিজেদের প্রকল্প বলে প্রচার করছে। এই বিষয়টি নিয়েও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ঠিক হয়েছে সাংসদরা ১০০টি করে বুথে যাবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ৩০ জনের একটি দল। বিধায়কেরা যাবেন ২৫টি করে বুথে। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ১০ জনের একটি দল। ‘বুথস্বশক্তিকরণ অভিযান’-এর রিপোর্ট বানিয়ে দ্রুত শীর্ষ নেতৃত্বকে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন SLST Agitation: চাকরির দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি