মেদিনীপুর: হতদরিদ্র পরিবার। সম্বল বলতে ভিটেবাড়ি আর কিছুটা জমি। পরিবারের কর্তা শক্তি নন্দী রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে মজুরের কাজ করেন। ছেলে পেশায় রাজমিস্ত্রি। অভাবই নিত্যসঙ্গী মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমনি এলাকার নন্দী পরিবারের। সারাদিন কাজের শেষে লটারি কাটার নেশা ছিল শক্তি নন্দীর।
সেই নেশাই যে ভাগ্য বদলে দেবে, বুঝিতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। ৩০ টাকার টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপটি হয়ে গিয়েছেন শক্তি নন্দী। এত বড় অঙ্কের পুরস্কার জিতে স্বভাবতই কিছুটা হতচকিত তিনি। পরিবার নিয়ে শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় রাত কাটিয়েছেন শক্তিবাবু।
আরও পড়ুন: ‘আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি’, তথাগতর টুইট ঘিরে জোর জল্পনা
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাড়ার দোকান থেকে টিকিট কাটেন তিনি। রাত ৮টা নাগাদ জানতে পারেন, এক কোটি টাকার লটারি লেগেছে। পুলিশের কাছে খবর দিয়ে রাতেই প্রতিবেশীদের সাহায্যে সপরিবারে কোতোয়ালি থানায় হাজির হয়ে যান। টাকা জেতার আনন্দ দূর, নিরাপত্তাই এখন নন্দী পরিবারের সবচেয়ে বড় চিন্তা।
কী করবেন এই টাকা দিয়ে? শক্তি নন্দী বললেন, এত টাকার হিসেব আমি জানি না। কেউ কোনওভাবে আক্রমণ করতে পারে, সেই আশঙ্কায় পুলিশের সাহায্য নিয়ে থানায় রয়েছি। এ বার হয়তো ভাগ্য বদলাচ্ছে। তেমন জমি জায়গা নেই। বিঘে চারেক জমি কিনে ছোট একটি বাড়িও বানানোর ইচ্ছা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিরছে প্যান্ট্রি কার, এ বার ট্রেনেই রান্না হবে রকমারি খাবার
শক্তিবাবুর প্রতিবেশী টুলু হাজরা বলেন, ওনারা সকলেই খেটে খাওয়া দিনমজুর। এত টাকা পেয়ে যাওয়ায় সবাই ভয়ে রয়েছেন। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে থানায় এসে রাত থেকে আশ্রয় নিয়েছেন। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। টাকা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সমস্ত সহযোগিতা করবেন ওনারা।