মালদহ: অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা। পাঞ্জাবের পাঠানকোটের এক ব্যক্তির টাকা হাতানোর অভিযোগে মালদহ জেলা থেকে গ্রফতার এক যুবক। ধৃত ঐ যুবকের নাম শুভঙ্কর ধর(২০)বাড়ি মালদহ জেলার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী খুঁটাদহ গ্রামে।
গত ২১ মে পাঞ্জাবের পাঠানকোট থানাতে এক ব্যক্তি একটি অভিযোগ দায়ের করেন,যে তাঁর ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট থেকে ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে এই টাকা মালদহ জেলার বামনগোলা থানার জনৈক যুবক শুভঙ্কর ধরের বন্ধন ব্যাঙ্কের এ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই সূত্র ধরে পাঞ্জাব পুলিশ মালদহ জেলার বামনগোলা থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বামনগোলা থানার পুলিশ স্থানীয় বন্ধন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখে ঐ শুভঙ্কর ধরের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে পাঠানকোটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ঢুকেছে। সেই টাকা আবার ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পরেই বামনগোলা থানার পুলিশ পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পাঞ্জাব পুলিশ এবং বামনগোলা থানার পুলিশ যৌথ ভাবে শুভঙ্করের বাড়িতে হানা দেয়। শুভঙ্কর কে গ্রেফতার করে।
শুভঙ্করের মায়ের অভিযোগ তাঁর ছেলেকে কেউ বা কারা ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এই টাকার সম্বন্ধে তাঁর ছেলে কিছুই জানে না। পেশাগত ভাবে শুভঙ্কর একজন গৃহ শিক্ষক। বিএ পাশ করার পর বাড়িতেই সে কিছু ছাত্রকে পাড়ায়। তাঁর মায়ের বক্তব্য, তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে মাঝের মধ্যেই পাবজি গেম খেলত সেই অন লাইন গেমের মাধ্যেমেই তাঁর ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট জেনে নিয়ে কেউ বা কারা এই প্রতারণা করেছে। এমনকী তাঁর ছেলের এ্যাকাউন্টে যে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে এবং সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে ব্যাঙ্ক থেকে কোনো এসএমএস তাঁর ছেলের মোবাইলে ঢোকেনি। এই ঘটনার সঙ্গে একটি বড়ো জালিয়াতি চক্র জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ধৃতের মা। রবিবার ধত অভিযুক্তকে কে মালদহ জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে ধৃতকে পাঞ্জাব পুলিশ সাত দিনের জন্য পাঠানকোটে নিয়ে যাওয়ার ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করেছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ সাইবার ক্রাইমের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।