গয়েশপুর: ফের তৃণমূলের দাদাগিরি। জমি বিক্রিতে বাধা, মালিককে হুমকি ও জমির মধ্যস্থতকারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগের অভিযোগ উঠল রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি কৌশিক ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে যুব নেতার পাল্টা দাবি, এই সব বিজেপির চক্রান্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী থানার গয়েশপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ কাটা একটি জমির বর্তমান মালিক সান্তনা দেবনাথ ও তাঁর ছেলে সুমন দেবনাথ। সান্তনা চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজনে গত কয়েক মাস আগে ওই জমিটি বিক্রি করবেন বলে ঠিক করেন। এই খবর চাউর হতেই তৃণমূলেরে যুব নেতা কৌশিক ঘোষ তাঁর অনুগামীরা ওই জমি নিজেরাই বিক্রি করিয়ে দেবে বলে জানা যায় অভিযোগ করেন সান্তনা। কর্মসূত্রে তাঁর ছেলে সুমন দীর্ঘদিন বাড়ি বাইরে থাকায় তাঁদেরই এক পরিচিত মলয় সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জমিটি বিক্রি করার জন্য। এরপর ওই জমিটি কেনার জন্য বায়নাও দেয় এক ব্যক্তি কিন্তু তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দু’মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা মিটিয়ে দিয়ে জমি নিতে হবে। কিন্তু দু’মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও টাকা পাননি বলে জানান তাঁরা।
কয়েকদিন আগে ওই জমি দেখতে মলয়কে তৃণমূলের ওই যুবনেতা ওয়ার্ড অফিসে তাঁকে ডেকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তাঁকে বলা হয়, এই সংক্রান্ত বিষয় থেকে তিনি যেন সরে দাঁড়ান। না হলে তাঁকে ফেনসিডিল কেসে ফাঁসি দেওয়া হবে। শুক্রবার এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়ে গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চ্যাটার্জির কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। অভিযোগ জানিয়ে বাড়ি ফিরতেই সন্ধ্যা ছটা নাগাদ হঠাৎই কয়েকজন যুবক এসে মলয়কে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই কৌশিক ঘোষের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:Central Government: সমগ্র শিক্ষা অভিযানে খাতে কেন্দ্রের থেকে ৯৫০ কোটি পেল রাজ্য
অন্যদিকে, যুব সভাপতি কৌশিক ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিজেপি চক্রান্ত করে এগুলো করছে। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। যদিও পাল্টা বিজেপির কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় জানান, এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। জমির দখল, তোলাবাজি, পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে মারধর এগুলি তৃণমূলের কালচার।