ব্যারাকপুর: পানিহাটি পুরসভার (Panihati TMC Councillor Murder Case) তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত (Anupam Dutta Murder Case) খুনের মামলায় ধৃত অমিত পণ্ডিত ওরফে শঙ্ভু পণ্ডিতকে পুলিসি হেফাজতে পাঠাল আদালত। সোমবার অভিযুক্তকে ব্যারাকপুর মহাকুমা আদালতে (Barrackpore Court) পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিস। বিচারক ১০ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ২ জনকে আটক করা হয়।
রবিবার রাতে পুলিসি তল্লাশির সময় ধরা পড়ে যায় অমিত পণ্ডিত। ব্যারাকপুরের পুলিসকর্তা মনোজ মালব্য জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরের ধারে ঝোপের মধ্যে লুকিয়েছিল অভিযুক্ত। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে, অভিযুক্তকে জেরা করে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও তদন্তকারীরা উদ্ধার করেছেন বলে পুলিসকর্তা দাবি করেন। জানান, ইতিমধ্যে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও একাধিক সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার রাতে পিছন থেকে গুলি করে খুন করা হয় পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে৷ কী কারণে পানিহাটি পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খুন হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিসকর্তা জানান, অনুপম দত্ত খুনের কারণ জানতে অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই খুন নাকি কারও নির্দেশে অনুপমকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

পুলিসকর্তা জানান, অমিত পণ্ডিতের বিরুদ্ধে এর আগেও ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। হরিণঘাটায় এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার মামলায় পুলিসের খাতায় ওয়ান্টেড ছিল অমিত। ২০২১-এর ২৫ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় পুলিস এতদিন তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের সূত্রে পুলিসের জালে ধরা পড়ল।
আরও পড়ুন-Purulia Congress Councillor Murder: অধীরকে দেখে লুটিয়ে পড়লেন ঝালদার নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে অনুপম দত্ত খুনের মামলার তদন্ত হাতে নিয়েছে সিআইডি। সোমবার পাঁচ সদস্যের সিআইডি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়।
এই খুনের ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। পানিহাটির বিধায়ক, জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ দাবি করেন, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে অনুপম দত্তকে। অভিযোগের আঙুল তোলেন বিজেপির দিকে। তৃণমূলের এই দাবি অস্বীকার করে বিজেপি পালটা জানায়, শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন।