রামপুরহাট: ফের এক তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ৷ এবার বীরভূমের রামপুরহাট এক ব্লকের ঘটনা৷ বোমা মেরে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ সোমবার বেলায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ের কাছে তিনি বসেছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়৷ পরে বোমা মারে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরেই রামপুরহাট থানার পুলিস এলাকায় টহলদারি শুরু করেছে। তবে, কে বা কারা তাঁকে খুন করল, কেন করল সে বিষযে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷
প্রত্যক্ষদর্শী লালন শেখের বক্তব্য, আমাদের পাশেই বসে ছিলেন উপ প্রধান৷ বাইকে চেপে চার পাঁচ এসে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ বোমা মারে৷ আমাদের দিকে বোমা ছোঁড়া হয়৷ তারা কারা আমি জানি না৷ আমাদের দিকে বোমা ছুঁড়তে পালিয়ে যায়৷
রামপুরহাট এক ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়েই হাসপাতালে এসেছি৷ আমাদের দলের উপ-প্রধান ছিলেন ভাদু শেখ৷ কে বা কারা ঘটিয়েছে তা পুলিস-প্রশাসন খতিয়ে দেখবে৷ দোষীদের ধরা ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় বছর খানেক আগে ভাদু শেখের দাদা বাবার শেখকে খুন করা হয়৷ সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিস৷ এদিনের খুনের ঘটনায় পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতা থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ তৃণমূল ব্লক সভাপতি তেমনই ইঙ্গিত করেছেন৷ তাঁর দাবি, উপ প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভাদু শেখ ভালো কাজ করছিল৷ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল৷ এ কারণেই হয়তো কেউ বা কারা তাঁকে খুন করেছে৷ তবে, দোষীদের কটোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে পুলিস-প্রশাসন৷
এর পানিহাটি ও ঝালদায় দুই কাউন্সিলরকে খুন করা হয়েছে৷ যে ঘটনা দুটিতে পুলিস প্রশাসের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে৷ তার মধ্যে আবার এক খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা৷