কেতুগ্রাম: কেতুগ্রামের এক টোটোচালককে এবার তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১৬ জুন বেলা ১০টার মধ্যে দুর্গাপুরের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নলিপুর গ্রামের এস আই সিবিআই দফতর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে এই নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে।
কেতুগ্রামের ওই বাসিন্দার নাম অজয় দাস। পেশায় তিনি টোটোচালক। সূত্রের খবর, তাঁকেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। সিবিআই তলব পেয়ে রীতিমতো ঘাবড়ে যান অজয়। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের সঙ্গে সিবিআইয়ের কী প্রয়োজন থাকতে পারে, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তিনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অজয় দাস সক্রিয়ভাবে কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তবে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীকে ফোন করেন। কয়েকদিন আগেই ওই এলাকায় রাস্তা সারাতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন অজয়। কারণ, অনুব্রত মণ্ডল ওই এলাকার অবজারভার। অজয়ের প্রাথমিক ধারণা, অনুব্রতকে ফোন করার কারণেই হয়তো ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের সমন পেয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের সামনে অজয় দাস বলেন, আমাকে ঠিক কী কারণে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা বলতে পারব না। আমি শুধু অনুব্রতবাবুকে ফোন করেছিলাম। আমার বাড়ি, রাস্তা সংক্রান্ত নানান সমস্যার কারণেই তাঁকে ফোন করেছিলাম। শুধু অনুব্রত নয়, ববি হাকিমের পিএ, অরূপ বিশ্বাসের পিএ-কেও এর আগে ফোন করেছি আমি।
আরও পড়ুন: JP Nadda: বাংলা ভাগ নিয়ে কোনও কথা নয়, রাজ্য বিজেপিকে স্পষ্ট নির্দেশ নাড্ডার
অজয় দাসের বাবা জানান, সিবিআই যখন ডেকেছে, তখন যেতে তো হবেই। তবে ও নির্দোশ। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তও নয় অজয়।